প্রশাসনিক রাজকর্মচারীদের কর্ম ব্যস্ততা বৃদ্ধি। দুপুর থেকে চিন্তার অবসান ও বাধামুক্তি। ... বিশদ
জয়দেবকে নিয়ে বিড়ম্বনার অন্ত নেই বিজেপিতে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রানিগঞ্জ শহর বিজেপির পতাকা, ফ্লেক্স, হোর্ডিংয়ে ঢাকা পড়েছিল। সৌজন্যে নীচে লেখা ছিল জয়দেব খাঁ। এমনকী বিজেপির হোর্ডিংয়ে তাঁর ছবিও দেখা গিয়েছিল। কয়লা পাচার, খুন সহ একাধিক মামলায় অভিযুক্ত জয়দেবকে নিয়ে বিজেপির মাতামাতি মেনে নেয়নি রানিগঞ্জ। বিধানসভা আসনে তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভ করে। তারপরও জয়দের সঙ্গ ত্যাগ করতে পারেনি বিজেপি। দুর্গাপুরে কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীর সঙ্গে বৈঠক করতে দেখা যায় জয়দেবকে, যা নিয়ে ফের শোরগোল পড়েছিল। এবার তো খোদ মোদি মন্ত্রিসভার সেকেন্ড ইন কমান্ড কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে। অমিত শাহ এদিন সন্ধ্যায় কয়লা ও গোরু পাচার নিয়ে সুর চড়িয়ে শিল্পাঞ্চলের ভোটারদের নাড়া দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, তাঁর বিদায় বেলায় জয়দেবের উপস্থিতি বিজেপির প্রচার কৌশলে চোনা ঢেলে দিল। এপ্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসন দাসু বলেন, এটাই বিজেপির চরিত্র। মানুষের কাছে আরও একবার বিজেপির মুখোশ খুলে গেল।
এনিয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় বলেন, কারও বাড়িতে সিবিআই রেড করা মানেই তো সে চোর নয়। উনি ২০২০ সাল থেকে আমাদের দলে রয়েছেন। তৃণমূল ওঁকে কয়লা মাফিয়া প্রমাণ করতে চাইছে। বাপ্পা একথা বললেও জয়দেবের সঙ্গে বিজেপির এই সখ্য ফের সামনে আসতেইে নিন্দার ঝড় উঠতে শুরু করেছে শিল্পাঞ্চলে। ভোটে তার কতটা প্রভাব পড়বে, সেদিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
মাঝখানে সাদা পোশাক পরিহিত জয়দেব। নিজস্ব চিত্র