প্রশাসনিক রাজকর্মচারীদের কর্ম ব্যস্ততা বৃদ্ধি। দুপুর থেকে চিন্তার অবসান ও বাধামুক্তি। ... বিশদ
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি বহরমপুর এসে দাবি করেন, বহরমপুরের মাটি থেকে বিজেপির এজেন্ট অধীর চৌধুরীকে হটান। বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে আমাদের লড়াই বিজেপি প্রার্থী এবং তার ডামি ক্যান্ডিডেটের বিরুদ্ধে। মোদি ও অমিত শাহের প্রচারে না আসার কারণ হিসেবে এই তত্ত্বই তুলে ধরছে শাসকদল। যদিও বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, বহরমপুরের মানুষ ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে যে তারা চিকিৎসক নির্মল সাহাকেই বেছে নেবেন। তাই ব্যস্ত মোদিজির সময় নষ্ট করতে চাননি। বরং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে এনে নির্বাচনের ১৩ দিন আগে শক্তিপুরে জনসভার আয়োজন করে বিজেপি নিজেদের ভোট ব্যাঙ্ক ভালোই মজবুত করেছে। বিজেপি প্রার্থী নির্মল সাহা বলেন, মোদিজি খুবই ব্যস্ত। কৃষ্ণনগরে এসেছিলেন। বহরমপুর থেকে আমাকেও ডেকেছিলেন। সেখানে আমি গিয়েছিলাম। আমার মনে হয় বহরমপুরের প্রচার ইতিমধ্যেই ওখান থেকে হয়ে গিয়েছে। মানুষ ঠিক করে ফেলেছেন কাকে ভোট দেবেন। দু’ দিনের মধ্যে আর সিদ্ধান্ত পাল্টাবে না। আমাদের কাজ হচ্ছে বুথ শক্তিশালী করা। মানুষকে বুঝিয়ে ভোট দিতে নিয়ে যাওয়া। শান্তিতে ভোট হলে মানুষের সুপ্ত বাসনা বিস্ফোরণের আকার নেবে। আমার নিশ্চিত বিশ্বাস বহরমপুরে এবার পরিবর্তন হবে।
বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি তথা কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকার (ডেভিড) বলেন, এখানে কংগ্রেস হল বিজেপির বি টিম। অধীরবাবু বিজেপির একজন ডামি ক্যান্ডিডেট। মোদি চাইছে অধীর আবার জিতুক। তাতে পার্লামেন্টে তাঁর সুবিধা হবে। কারণ অধীরবাবুরা তো মানুষের বঞ্চনা নিয়ে কথা বলবেন না, কোনও বিরোধিতা করবেন না। তাই নরেন্দ্র মোদি এখানে এলেন না, যাতে ডামি ক্যান্ডিডেটের ভোট না কমে যায়। এটা থেকে বোঝা যায় যে, অধীরবাবুর সঙ্গে মোদিবাবুর কতটা গভীর সেটিং রয়েছে।
কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্ত দাস কটাক্ষ করে বলেন, মোদিজি না আসায় মুর্শিদাবাদ জেলায় বিজেপি এবং তৃণমূল কর্মীরা বেশ হতাশ। অধীর চৌধুরীকে হারানোর জন্য মোদি কোম্পানির সমস্ত রথী-মহারথীরা শক্তিপুর থেকে আরম্ভ করে অনেক জায়গাতেই ঘুরে গিয়েছেন। বিজেপি ও তৃণমূলের যে দ্বৈত রথ আমাদেরকে হারানোর জন্য এখানে অবতীর্ণ হয়েছে, কতটা সাফল্য অর্জন করবেন সেটা নিয়ে তাঁরা সন্দিহান। তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে জিজ্ঞাসা করব, কার সঙ্গে কার সেটিং আছে? তাঁর দিদি কেন জোট ছেড়ে বেরিয়ে এলেন? মানুষ এখন বুঝে গিয়েছে সোনা ভালো নাকি খাদযুক্ত সোনা ভালো। আমরা জনগণের উপর আস্থাশীল এবং শ্রদ্ধাশীল। জনগণ যাকে মনে করবে তাঁকেই এখান থেকে জয়যুক্ত করাবেন। যিনি মানুষের সুখে-দুখে থাকেন এবং পার্লামেন্টে গিয়ে মানুষের কথা তুলে ধরতে পারেন, তিনি কে সেটা মানুষ জানেন।