গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
দুপুর ১টা নাগাদ বহরমপুর ব্যারাক স্কোয়ার ময়দানের হেলিপ্যাডে নামেন ইরফান। ক্রিম রঙের ট্রাউজার, সঙ্গে একই রঙের ম্যাচিং টি-শার্ট আর স্পোর্টস ক্যাপ। পায়ে সাদা স্নিকার্স। কপ্টার থেকে নামতেই ভাইকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন ইউসুফ। তখনই আমজনতার চোখে মুখে দেখা গেল উন্মাদনা। দাদার জয় নিয়ে প্রত্যয়ী ওই খেলোয়াড়। কালো গাড়িতে চেপে ইরফান চললেন সোজা দাদার অস্থায়ী ঠিকানায়। ইরফানের গায়ে চাপানো কালো হুডি কিছুক্ষণের মধ্যে জায়গা পেল গাড়ির সিটে। রাস্তার ধার দিয়ে সারি সারি হোর্ডিংয়ে করজোড়ে থাকা দাদার ছবির দিকে অপলকে তাকিয়ে আছেন তিনি। পাশে অন্যান্য দলের প্রচারের ফ্লেক্স দেখে রাজনৈতিক উত্তাপ কিছুটা টের পেলেন ছোট পাঠান। হোটেলে ঢুকে দাদার সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলে একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া সেরে সোজা বেলডাঙার উদ্দেশে রওনা দেন। সেখানে পৌঁছতেই টের পেলেন মানুষের উচ্ছ্বাস।
এদিন রোড-শো চলাকালীন হরেকনগরে গাছ ভর্তি আম দেখে হাত বাড়িয়ে ধরতে যান ইরফান। ইউসুফ ভাইকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, আম সব এখন ছোট। বড় হবে আরও। তোকে পরে খাওয়াব। মুখে হাসি দিয়ে দাদাকে জড়িয়ে ধরেন ইরফান।
এদিন প্রচার গাড়িতে সর্বক্ষণই মাইক হাতে ইউসুফ পাঠানের জন্য ভোটের আবেদন করে যান পাশের কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী আবু তাহের খান। কখনও করজোড়ে, আবার কখনও হাত নাড়িয়ে মানুষকে অভিবাদন জানান বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরী, হুমায়ুন কবীর, হাসানুজ্জামান শেখ ও সভাধিপতি রুবিয়া সুলতানা সহ অন্যান্যরা।
কাজিসাহার সাহেবের সিঁড়ি সংলগ্ন মাঠে সভাস্থলে যখন শোভাযাত্রার গাড়ি পৌঁছয়, তখন প্রায় বিকেল সাড়ে ৫টা। ততক্ষণে আকাশ ঢেকেছে কালো মেঘে। ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে ওয়েলকাম পাঠানের গর্জন স্বাগত জানিয়েছে তৃণমূল প্রার্থী ও তাঁর ভাইকে। মাঠ ভর্তি যুব সমাজ শুধু শুনতে চাইছে, দুই পাঠানের কথা। তৃণমূল নেতৃত্ব বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করে প্রথমে ইউসুফ ও পরে ইরফানকে বলতে অনুরোধ করে। একে একে দুই ভাইয়ের বক্তব্যে গোটা মাঠ উল্লাসে ফেটে পড়ে।
ইরফান বলেন, আমি আবার আসব। দাদা এখানে মানুষের জন্য কাজ করবে। তাই আমি অবশ্যই আপনাদের জন্য এখানে আসব। যে উন্মাদনা ও ভালোবাসা মানুষের মধ্যে দেখছি, সেটা ভোটের মাধ্যমে প্রকাশ করতে হবে। তাহলেই দাদার জয় কেউ আটকাতে পারবে না। প্রচার সভায় ভাই ইরফানকে পরামর্শ ইউসুফের। নিজস্ব চিত্র