শত্রু বৃদ্ধি হলেও কর্মে উন্নতি ও কর্মস্থলে প্রশংসা লাভ। অর্থকর্মে উন্নতি হবে। সন্তানের ভবিষ্যৎ উচ্চ ... বিশদ
রাজ্যের চার কর্পোরনের ভোট মিটলে বাকি পুরসভাগুলির ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতে পারে। সেই সম্ভাবনাকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলি ময়দানে নেমে পড়েছে। কান্দি পুরসভায় ১৮টি ওয়ার্ড রয়েছে। বুধবার থেকে ওই সকল ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি প্রচার শুরু করেছে কংগ্রেস। কান্দির প্রাক্তন বিধায়ক সফিউল আলম খান দলীয় কর্মীদের নিয়ে প্রচার করছেন। স্যোশাল মিডিয়াতেও সেই ছবি পোস্ট করা হচ্ছে। সফিউল সাহেব বলেন, পুরভোটে কংগ্রেস জয়ী হলে পুরসভায় স্বচ্ছ প্রশাসনের ছবি তুলে ধরবে।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে অনেক আগেই বাড়ি বাড়ি প্রচার শুরু করা হয়েছে। এলাকার বুথ কমিটির সদস্যরা ইতিমধ্যে বাড়ি বাড়ি প্রচার শুরু করেছেন। প্রতিদিন সন্ধ্যায় এলাকার বুথ অফিসগুলিতে প্রচারের খুঁটিনাটি নিয়ে আলোচনা চলছে। এখন শহরের বিভিন্ন এলাকা ব্যানার ও ফেস্টুন দিয়ে সাজানোর কাজ চলছে। কান্দি বাঁধাপুকুর মোড় সংলগ্ন এলাকা তৃণমূলের দলীয় পতাকা দিয়ে সাজানো হয়েছে। শহরের বিভিন্ন রাস্তার দু’পাশে ফ্লেক্স ঝোলানো হয়েছে। তাতে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পগুলি তুলে ধরা হয়েছে। দেওয়াল লিখন শুরু না হলেও, দেওয়ালে চুন দেওয়ার কাজ প্রায় শেষের দিকে।
এব্যাপারে কান্দি শহর তৃণমূল সভাপতি তরুণসুন্দর ত্রিবেদী বলেন, আমরা সারা বছর মানুষের পাশে থাকি। কাজেই ভোটের সময় ঘটা করে আমাদের আর প্রচার করতে হয় না। তবে যেহেতু প্রচার ভোটের একটি অঙ্গ। তাই এলাকা পতাকা, ফেস্টুন ও ব্যানার দিয়ে সাজানোর কাজ চলছে। বাড়ি বাড়ি প্রচারের বিষয়টি বুথ কর্মীরা বছরভর করে থাকেন।তবে এখনও পর্যন্ত বিজেপি ও সিপিএমকে প্রচারে সেভাবে নামতে দেখা যায়নি। সম্প্রতি কান্দির বিজেপির কয়েকজন নেতা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর গেরুয়া শিবিরের কর্মসূচি আপাতত স্থগিত রয়েছে বলে রাজনৈতিক মহলের মত। যদিও তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব এই যোগদান মেনে নিতে পারেননি। সিপিএমের কান্দি লোকাল কমিটির সম্পাদক স্বরূপ মুখোপাধ্যায় বলেন, সেই অর্থে আমরা ভোটের প্রচার এখনও শুরু করতে পারিনি। জেলা কমিটির নির্দেশ পাওয়ার পর প্রচার নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।