শত্রু বৃদ্ধি হলেও কর্মে উন্নতি ও কর্মস্থলে প্রশংসা লাভ। অর্থকর্মে উন্নতি হবে। সন্তানের ভবিষ্যৎ উচ্চ ... বিশদ
এবিষয়ে বিজেপির কাটোয়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি গোপাল চট্টোপাধ্যায় বলেন, অমর রাম আগে কাটোয়া পুরসভায় তৃণমূলের চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করেছেন। তাছাড়া উনি দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তাই আমরা তাঁর পুরনো অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চাইছি। আসন্ন পুরভোটে অমরবাবুকেই সামনে রাখা হবে।
জানা গিয়েছে, কাটোয়ায় ২০১৪ সালে তৎকালীন কংগ্রেসের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে অমর রাম কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল যোগ দেন। তারপর থেকেই প্রকাশ্যে তিনি রবিবাবুর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। এরপর ২০১৫ সালে তৃণমূলের হয়ে পুরসভা ভোটে অমরবাবু লড়েন। সেবার কংগ্রেস ও তৃণমূল ২০টি আসনের মধ্যে ১০টি করে আসন পায়। তারপরে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল। সেবার চেয়ারম্যান হন অমরবাবু। কিছুদিন পর রবীন্দ্রনাথবাবু সদলবলে তৃণমূলে যোগ দেন। ধীরে ধীরে দুই নেতার মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। কাটোয়ায় বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় ও অমর রামের বিরোধ সর্বজনবিদিত। লোকসভা নির্বাচনের আগে দলের তৎকালীন জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ ও জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক উত্তম সেনগুপ্ত কাটোয়ায় স্টেশন বাজারের দলীয় কার্যালয়ে অমর রাম ও রবিবাবুকে একসঙ্গে বসিয়ে ভোটের কাজে ঝাঁপাতে নির্দেশ দেন। তার ঠিক দিন পাঁচেক পরেই কাটোয়া শহরে তৃণমূলের মহামিছিলে যোগ দেননি অমরবাবু। এছাড়া ‘বাংলার গর্ব মমতা’ অনুষ্ঠানে এসেও দলেরই বিধায়কের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়ে মঞ্চ ছেড়েছিলেন তৎকালীন তৃণমূলের শহর সভাপতি অমরবাবু। পুরসভার বোর্ড মিটিংয়েও দীর্ঘদিন ধরে তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। তবে গতবছরে পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে অমরবাবু সহ তাঁর অনুগামী তিন কাউন্সিলার যোগ দিয়ে রবিবাবুর সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন। বিধায়কের দিকে লক্ষ্য করে কাচের গ্লাস ছোড়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। এরপর ২০২১ সালে মার্চ মাসে অমর রাম তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন।
গত লোকসভার ফলাফলের নিরিখে কাটোয়া শহরে বিজেপি এগিয়ে আছে। তাই এবার পুরসভা ভোটে কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলতে চাইছে বিজেপি। এনিয়ে অমরবাবু বলেন, আমাকে দল যে দায়িত্ব দেবে তা আমি অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করব। অমরবাবুকে বিজেপি পুরভোটে মুখ করে এগতে চাইছে, এই খবর চাউর হতেই শহরজুড়ে ফের রাজনৈতিক আলোড়ন পড়ে যায়। এদিন কাটোয়া শহরের বিজেপির নগর অফিসে বৈঠকে অমরবাবুকে পুরভোটের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয় নেতৃত্ব।
এ বিষয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি বলেন, অমর রামকে বিজেপি পুর নির্বাচনে মুখ করতে চাইছে মানে ফের শহরে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চাইছে।