কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। উকিল, মৃৎশিল্পীদের শুভ। সংক্রমণ থেকে শারীরিক অসুস্থতা হতে পারে। আর্থিক ... বিশদ
দুর্গাপুজোয় রামপুরহাটকে এবার কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হচ্ছে। নিরাপত্তার প্রশ্নে বিধিবদ্ধ ব্যবস্থার পাশাপাশি বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে পুলিসের দাবি। জনবহুল আটটি মোড়ে পুলিস সহয়তা কেন্দ্র, মোটরবাইক মোবাইল পুলিস, কুইক রেসপন্স টিম সবই থাকছে। যাতে কোনও প্রয়োজন হলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়। রোমিওরা কোনওরকম ইভটিজ বা বেচাল করলে পুজোর আসর থেকে একেবারে হাজতে ঠাঁই হতে পারে। খোলা হচ্ছে পুলিসের বিশেষ কন্ট্রোল রুম।
নিরাপত্তার পাশাপাশি এবার মদ্যপদের শায়েস্তা করতে থাকছে সাদা পোশাকের প্রচুর পুলিস। মহকুমা শহর রামপুরহাটে ঠাকুর দেখতে দূরদূরান্তের গ্রামের মানুষ ভিড় করেন। পঞ্চমী এবং ষষ্ঠীতে ভিড় কিছুটা কম হলেও জনতার ঢল নামে সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীতে। দশমীতেও কালো মাথায় ঢেকে যায় শহরের রাস্তা। তবে পুজোর সময় মাস্ক ছাড়া প্রতিমা দর্শনে বেরলে ব্যবস্থা নেবে পুলিস। এদিকে মাস্কের আড়ালে দুষ্কৃতীরা অপকর্ম ঘটাতে পারে। তাই এমনিতেই শহর জুড়ে পঞ্চাশটির অধিক সিসি ক্যামেরা রয়েছে। যদিও রামপুরহাট থানার আইসি ত্রিদিব প্রামাণিক বলেন, তার মধ্যে ৩৭টি কার্যকর রয়েছে। বাকিগুলি সারিয়ে তোলার পাশাপাশি যেসব রাস্তা দিয়ে মানুষের ভিড় হয়, সেই রাস্তাগুলির নিরাপত্তায় নজরদারি চালাতে আরও ৩০ টির বেশি সিসি ক্যামেরা লাগানো হবে।
এক পুলিস কর্তা বলেন, দেশের নানা প্রান্তে অস্থিরতা যে ভাবে বাড়ছে তাতে উৎসবের দিনগুলিতে যাতে কোনও অঘটন না ঘটে তার জন্যই পুলিস এবার অতিমাত্রায় সর্তক। জেলা পুলিস সূত্রে খবর, প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তর থেকেও জেলার পুলিস কর্তাদের ‘বার্তা’ দেওয়া হয়েছে, ‘কোনওরকম শিথিলতা নয়’। পুজোর দিনগুলিতে তাই নিরাপত্তা ব্যবস্থা ত্রুটিহীন রাখতে পুলিশ কর্তারা এবার মরিয়া।
রামপুরহাটের যে সব জায়গায় দিয়ে মানুষ শহরে ঠাকুর দেখতে ঢোকেন, সেই রাস্তাগুলিতে যান নিয়ন্ত্রণের জন্য থাকবে ড্রপ গেট। ভারী যানবাহন চলাচলেও নিয়ন্ত্রণ রাখা হচ্ছে। ষষ্টী থেকে দশমী বেলা দুটো থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত টোটো চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এমনকি যারা চারচাকা গাড়ি চড়ে মণ্ডপ ও ঠাকুর দেখার কথা ভাবছেন! সাবধান।
শহর ঢোকার মুখেই পুলিস গাড়ি আটকে দেবে। পায়ে হেঁটে বা বাইকে চড়ে ঠাকুর দেখা ছাড়া উপায় নেই। তবে বাইকে ঘুরলে চালক ও আরোহীর মাথায় অবশ্যই হেলমেট থাকা চাই। নতুবা পুলিসি জরিমানার সম্মুখিন হতে পারেন।
আইসি বলেন, অন্য বছরগুলির তুলনায় এবছর পুলিসি ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে। প্রতিটি বড় পুজো মণ্ডপে পুলিস মোতায়েন করা হবে। রোমিওদের উৎপাত ঠেকাতেও এবার বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মোটের উপর নিশ্চিন্তে পুজো দেখার সমস্ত উপকরণই মজুত থাকছে রামপুরহাটে। এখন শুধু উৎসবে মেতে ওঠার অপেক্ষা।