কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। উকিল, মৃৎশিল্পীদের শুভ। সংক্রমণ থেকে শারীরিক অসুস্থতা হতে পারে। আর্থিক ... বিশদ
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দৈনিক সংক্রমণের হার কিছুটা নিম্নমুখী হতেই রাজ্যের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে ভিড় বাড়ছে। ব্যবসার হাল ফেরাতে বিভিন্ন ট্যুর অপারেটররা সোশ্যাল মিডিয়াকে ঢাল করে প্রচার চালাতে শুরু করেন। তা দেখে অনেকেই পুজোর সময় টানা ছুটিতে বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান করেছেন। কিন্তু সমস্যা যাওয়া আসা নিয়ে।
কৃষ্ণনগরের এক ট্যুরিজিম সংস্থার কর্ণধার বলেন, এবার বর্ষায় উত্তরবঙ্গের পাহাড় ও ডুয়ার্সে অনেকেই বেড়াতে গিয়েছেন। সাধারণত এই সময় পাহাড়ের তুলনায় সমুদ্র ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে বেশি পছন্দের। কিন্তু বর্তমানে পাহাড় ও সমুদ্র দু’জায়গাতেই মানুষ যেতে চাইছেন। অনেকে আবার ফোন করে পুজোর সময় অন্তত রাজ্যের মধ্যেই কোনও না কোনও নির্জন পর্যটন কেন্দ্রে বুকিং চাইছেন। কিন্তু আমাদের পুজোর বুকিং প্রায় শেষ। এখন ট্রেনের টিকিটও মিলছে না। আমরা অনুরোধ রাখতে পারছি না।
রানাঘাটের ট্যুর অপারেটর শ্যামল বিশ্বাস বলেন, দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই একের পর এক ট্রেনের রিজার্ভেশন ও হোটেল বুকিং বাতিল করতে হয়েছিল। তাতে ব্যবসায় ভাটা পড়ে। তবে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের ভয়-ভীতি দূরে সরিয়ে রেখে পর্যটকরা আবার বাইরে যেতে চাইছেন।
আইআরসিটিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, ১১অক্টোবর অর্থাৎ ষষ্ঠীর দিন হাওড়া, কলকাতা, শিয়ালদহ স্টেশন থেকে নিউ জলপাইগুড়ি যাওয়ার মেল ও এক্সপ্রেস মিলিয়ে মোট দশটি ট্রেন রয়েছে।
কিন্তু ওই ট্রেনগুলোতে সংরক্ষিত কামরায় একটি আসনও খালি নেই। এছাড়া ওইদিন হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশন থেকে পুরী যাওয়ার পাঁচটি ট্রেন রয়েছে। ট্রেনগুলিতে ৯৯ শতাংশ সংরক্ষিত আসন ইতিমধ্যেই পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। এছাড়া পুজোর দিনগুলিতে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে দার্জিলিং যাওয়ার ট্রেনের সমস্ত আসন বুকিং হয়ে গিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে ট্রেনের টিকিট না পেয়ে অনেকেই দীঘা, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া প্রভৃতি জেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে যেতে চাইছেন। রানাঘাটের বাসিন্দা জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, দীর্ঘদিন কোথাও বেড়াতে যাওয়া হয়নি। প্রতিবছর আগে থেকেই পুজোর ছুটি কাটানোর যাবতীয় পরিকল্পনা থাকে। সেইমতো ট্রেনের টিকিট আগেভাগেই কেটে রাখি। কিন্তু এবছর করোনা পরিস্থিতির কারণে তা সম্ভব হয়নি। এখন ট্রেনের টিকিট মিলছে না। ভেবেছিলাম, ডুয়ার্স বেড়াতে যাব। কিন্তু পেট্রলের যা দাম তাতে গাড়ি নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেন, কোভিড পরিস্থিতির কারণে এবার পুজো স্পেশাল ট্রেন রাখা সম্ভব হচ্ছে না। তবে প্রয়োজনমতো আমরা স্পেশাল ট্রেন চালাচ্ছি। আগামী ১ অক্টোবর একদিনের জন্য শিয়ালদহ-নিউ জলপাইগুড়ি একটি স্পেশাল ট্রেন রাখা হয়েছে।