কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। উকিল, মৃৎশিল্পীদের শুভ। সংক্রমণ থেকে শারীরিক অসুস্থতা হতে পারে। আর্থিক ... বিশদ
অতিরিক্ত জেলাশাসক(উন্নয়ন) নির্মাল্য ঘরামি বলেন, ভোটাররা যাতে নির্ভয়ে ভোট দিতে পারেন তারজন্য সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়াও ক্যামেরার মাধ্যমেও নজরদারি চালানো হবে। পোলিং এজেন্ট, প্রার্থী, কাউন্টিং এজেন্টদের ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ নেওয়া বাধ্যতামূলক। সোমবার ভোটপ্রচার শেষ হয়ে গিয়েছে। নতুন করে আর কোনও প্রার্থী প্রচার করতে পারবেন না। প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সামশেরগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে মোট ৩২৯টি পোলিং স্টেশন রয়েছে। দু’লক্ষ ৩৭ হাজার ৭৫০ জন ভোটার রয়েছেন। শারীরিকভাবে অক্ষম ভোটারের সংখ্যা ১৫৮৫ জন। জঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ৩৬৩টি পোলিং স্টেশন রয়েছে। এখানে দু’লক্ষ ৫৫ হাজার ৯৯৮ জন ভোটার রয়েছেন। ১৭৬৭ জন শারীরিকভাবে অক্ষম ভোটার রয়েছেন। দুই বিধানসভা কেন্দ্র সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত। তাই সীমান্তেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। দুই কেন্দ্রের একাধিক পয়েন্টে নাকা চেকিং রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জঙ্গিপুরের পরিবেশ এখনও শান্তিপূর্ণ থাকলেও সামশেরগঞ্জে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। শেষ মুহূর্তে কংগ্রেস এই কেন্দ্রে প্রচারে নেমেছে। তাদের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীরা হামেশাই বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছেন। এলাকায় বোমাবাজিও হয়েছে। তাই এই কেন্দ্রে নিরাপত্তায় বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। সামশেরগঞ্জে কংগ্রেসের সংগঠন প্রথম থেকেই শক্তিশালী ছিল। গত লোকসভা নির্বাচনেও এখানে তারা এগিয়ে রয়েছে। পরবর্তীকালে তাদের সংগঠনে ফাটল ধরে। অনেকেই শাসক শিবিরে যোগদান করেন। তবে এবার তাদের প্রার্থী জইদুর রহমান নিজের ব্যক্তিগত ইমেজের জন্য লড়াই দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এলাকায় তিনি প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। এলাকায় তাঁর যথেষ্ট গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। অন্যদিকে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলি শাসকদলকে এখানে এগিয়ে রাখছে। এখানে তাদের নিজেদের মধ্যে কোন্দল রয়েছে। কিন্তু লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী মতো একাধিক প্রকল্প থেকে বাসিন্দারা সহায়তা পাওয়ায় তাঁরা ‘দিদি’র উপরে ভরসা রাখতে চাইছেন। তবে জঙ্গিপুরে শাসকদল প্রথম থেকেই স্বস্তিতে রয়েছে। এখানে বিজেপি মূল প্রতিদ্বন্দ্বী। কিন্তু শাসকদলকে টেক্কা দেওয়ার ক্ষমতা তারা হারিয়েছে বলে বাসিন্দাদের দাবি।