কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। উকিল, মৃৎশিল্পীদের শুভ। সংক্রমণ থেকে শারীরিক অসুস্থতা হতে পারে। আর্থিক ... বিশদ
জেলায় শারদ উৎসবের আমেজে বাড়তি অক্সিজেন বহন করে আনছে পুজো উদ্যোক্তাদের একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার মানসিকতা। পুজোর আগে আর হাতে গোনা কয়েকটা দিন রয়েছে। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে চূড়ান্ত ব্যস্ততা উদ্যোক্তাদের। বর্ধমানের ঘোড়দৌড়চটি সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির এবারের বিষয় রাজ্য সরকারের জনমুখী প্রকল্প লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। আবার মেমারির পাল্লারোড পল্লিমঙ্গল সমিতির পুজোয় উঠে আসছে খেলা হবে স্লোগান।
ডিভিসি মোড়ের ঘোড়দৌড়চটি সর্বজনীন দুর্গাপুজোর মণ্ডপের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আদলে মণ্ডপে উঠে আসছে সরকারের জনমুখী প্রকল্পের জয়গাঁথা। বাঁশ ও চাঁচ দিয়ে ছ’টি ধানের মড়াই তৈরি হচ্ছে। যেগুলি মা লক্ষ্মীর কোলে থাকা ভাণ্ডারের মতো দেখতে হবে। সেগুলি দিয়েই মণ্ডপের প্রধান অংশ নির্মিত হচ্ছে। কোভিডের ছোবলে পুজোর আয়োজন কমেছে। তাও মানুষকে পুজো থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। তাই স্বল্প খরচে মনোগ্রাহী মণ্ডপ গড়তে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে বেছে নিয়েছেন উদ্যোক্তরা। এক উদ্যোক্তা অসীম হাতি বলেন, সরকারের একাধিক প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। এই প্রকল্প ঘিরে মানুষের উৎসাহ রয়েছে। তাই এবার সেই আদলে আমাদের পুজো মণ্ডপ তৈরি করা হচ্ছে।
অপরদিকে পাল্লারোডের পল্লিমঙ্গল সমিতির এবারের পুজোর থিম ‘খেলা হবে’। নাম শুনে রাজনৈতিক সংসর্গ মনে হলেও আদতে রাজনীতির সঙ্গে থিমের নামের কোনও যোগ নেই বলে দাবি উদ্যোক্তাদের। তাহলে এমন নাম কেন? তাঁদের মতে, করোনা পরিস্থিতিতে সমস্ত কিছু ভুলে মহামারী থেকে সকলকে রক্ষা করার জন্য কোভিডকে হারাতে কাজ করে চলেছেন ডাক্তার নার্স থেকে পুলিস ও স্বেচ্ছাসেবীরা। তাঁরাই আমাদের কাছে দেবী রূপে আবির্ভূত হয়েছেন। তাঁদের মা দুর্গা রূপেই দেখছি আমরা। তাই অসুররূপী করোনাকে হারাতে ডাক্তার, নার্স, পুলিস, স্বেচ্ছাসেবীরূপী মা দুর্গার জেতার খেলা হওয়ার কথা বলা হচ্ছে। তাই তাঁদের নিয়েই এবারের দুর্গাপুজোর থিম। ‘খেলা হবে’ এখানে প্রতীকী।
সমিতির সদস্য অনুপম পাল, সুজয় ঘোষ বলেন, কিছুটা চমকই রয়েছে আমাদের থিমে। মণ্ডপে নানা মডেলে ফুটে উঠবে কোভিডের বিরুদ্ধে আমাদের এই কর্মকাণ্ড। সাবেকি প্রতিমা তৈরি করছেন শিল্পী রাম পাল। সমিতির সাধারণ সম্পাদক সন্দীপন সরকার বলেন, সরকারি বিধিনিষেধ মেনে খোলামেলা প্যান্ডেল তৈরি হচ্ছে এবারও। করোনার ধাক্কায় প্রত্যেক পুজোর মতো বাজেট কমেছে পল্লিমঙ্গলেরও। পুজোর চারদিনে নানা সামাজিক কর্মসূচিরও আয়োজন থাকছে। এখন দেখার করোনাকে হারাতে মা দুর্গার ‘খেলা হবে’ কতটা মন জয় করতে পারে দর্শনার্থীদের।