বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যার বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৮জানুয়ারি বিহারের বৈশালী জেলার বিদপুর থানা এলাকার কাঞ্চনপুরে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের প্রহরী বিহীন শাখায় মুখ ঢাকা কয়েকজন সশ্রস্ত্র ডাকাত হানা দিয়েছিল। তারা ব্যাঙ্কের ক্যাশিয়ার গৌরব কুমার সহ অন্য কর্মীদের বন্দুক দেখিয়ে কাউন্টারের সমস্ত টাকা নিয়ে নেয়। এমনকী, সেই সময় ব্যাঙ্কে উপস্থিত গ্রাহকদের বন্দুক দেখিয়ে তাঁদেরও টাকা কেড়ে নেয়। ১০মিনিট অপারেশন চালিয়ে ৪৭লক্ষ ৫৪হাজার টাকা নিয়ে তারা চম্পট দেয়। যাওয়ার আগে সিসি ক্যামেরাটিও নষ্ট করে দিয়েছিল। ঘটনার তদন্তে নেমে বিহার পুলিস হার্ডডিক্স থেকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে। এরপর ডাকাতদের ধরতে বিহারের পাশাপাশি ঝাড়খণ্ড ও এই রাজ্যের বিভিন্ন থানার সঙ্গে যোগাযোগ। ডাকাত দলের বিবরণও নানা থানায় পাঠানো হয়। অবশেষে দু’সপ্তাহের মাথায় তারাপীঠের একটি হোটেল থেকে ডাকাতদলের ছ’জনকে ধরতে সক্ষম হল পুলিস। জানা গিয়েছে, ডাকাতির পর তারা বিভিন্ন জায়গা ঘুরে গত ৯ফেব্রুয়ারি রাতে তারাপীঠের ওই হোটেলে উঠেছিল। তাদের হেফাজত থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু টাকা। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতদের নাম মানু রায়, সাউল সাহু, রঞ্জিত চৌধুরি, কৃষ্ণা শর্মা, করণ খাতিক ও গৌতম কুমার। এদের মধ্যে প্রথম চারজন কলকাতার ট্যাংরা রোডের বাসিন্দা। করণ কলকাতার পুলিন খটিক রোড ও গৌতম বিহারের বিদপুরের বাসিন্দা। ব্যাঙ্ক ডাকাতির মাস্টার মাইণ্ড গৌতম। এদিন বিকেলেই বিহার পুলিসের তদন্তকারী অফিসারদের হাতে ধৃতদের তুলে দেওয়া হয়। এক তদন্তকারী অফিসার বলেন, বিহার থেকে প্রচুর পুণ্যার্থী তারাপীঠে আসেন। তাই প্রথম থেকেই সন্দেহ হয়েছিল, ডাকাতদলটি তারাপীঠে গা-ঢাকা দিতে পারে। সেই মতো তারাপীঠ থানার সাহায্য চাওয়া হয়েছিল। তাতেই সাফল্য মিলেছে। উল্লেখ্য, পরিচয় গোপন রেখে তারাপীঠে আত্মগোপনের প্রচুর নজির রয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার বামনগাছির প্রতিবাদী ছাত্র সৌরভ চৌধুরি খুনে মূল অভিযুক্ত শ্যামল কর্মকার ও তার সাগরেদ রতন দাসকে তারাপীঠের লজ থেকেই পুলিস গ্রেপ্তার করেছিল।