বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যার বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
বাংলা বন্ধে মৃদু প্রভাব পড়ল বীরভূমে। এদিন মল্লারপুরে সড়ক অবরোধ করায় বন্ধ সমর্থনকারীদের সঙ্গে পুলিসের সাময়িক বচসা ও ধস্তাধস্তি হয়। কিছু জায়গায় রাস্তায় শুয়ে পড়েন বন্ধ সমর্থনকারীরা। যার জেরে তীব্র ভোগান্তির শিকার হন মানুষ। বহু দূরপাল্লার বাস ও পণ্যবাহী যানবাহন আটকে পড়ে। যদিও পুলিস ও প্রশাসনের সক্রিয়তায় অবরোধ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। রামপুরহাটে পাথর শিল্পাঞ্চলও স্বাভাবিক ছিল। তবে আর পাঁচটা দিনের তুলনার বেসরকারি বাসের সংখ্যা কম ছিল।
মুর্শিদাবাদের জেলা সদর বহরমপুর শহরে বেশকিছু দোকান বন্ধ ছিল। বেসরকারি বাস খুব কম চলেছে। বামেরা এদিন বহরমপুর শহরে মিছিল করে। গির্জার মোড়ে বেশ কিছুক্ষণ ধরে তারা পিকেটিং করে। এছাড়া তারা ফরাক্কা, ইসলামপুরেও রাস্তা অবরোধ করে পিকেটিং করেছিল। বহরমপুর শহরে আলাদাভাবে কংগ্রেস মিছিল করেছে। কান্দি বাসস্টান্ড এলাকায় বন্ধ সমর্থকরা টায়ার জ্বালিয়ে আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। বন্ধের প্রভাব সবচেয়ে বেশি দেখা যায় ডোমকল মহাকুমায়। এই এলাকার অধিকাংশ দোকান বন্ধ ছিল। বাস চলাচল করেনি। তবে দুপুরের পর পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে যায়। পুলিস জানিয়েছে, জেলায় কোথাও বড় ধরনের গণ্ডগোল হয়নি। বন্ধের বিরোধিতায় তৃণমূলকেও পথে নামতে দেখা যায়নি। সিপিএম নেতা নৃপেন চৌধুরী বলেন, মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমাদের ডাকা বন্ধে সাড়া দিয়েছিল। তৃণমূল নেতা অশোক দাস বলেন, সবকিছু স্বাভাবিক ছিল। মানুষ আর বন্ধ চায় না।
পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও আরামবাগেও বন্ধে মিশ্র প্রভাব পড়েছে। এদিন তিন এলাকাতেই বেসরকারি বাস রাস্তায় নামেনি। তবে রাজ্য সরকারের পরিবহণ সংস্থার বাস স্বাভাবিক ছন্দে চলাচল করেছে। দোকান-পাট বেশিরভাগ খোলাই ছিল। আরামবাগে এদিন জনজীবন স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে তৃণমূল মিছিলও করে। বাম-কংগ্রেস সমর্থিত শ্রমিক সংগঠনের দাবি, এদিন রেলের গুডস সেডে শ্রমিকরা কাজে যোগ দেননি। বাঁকুড়া জেলা সিপিএমের সম্পাদক অজিত পতি বলেন, এদিন বন্ধ সফল হয়েছে। তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা বলেন, বন্ধের কোনও প্রভাব জেলায় দেখা যায়নি। শুধু ভাঙচুরের আশঙ্কায় বেসরকারি বাসগুলি চলাচল করেনি।
নদীয়ার কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, শান্তিপুর, নবদ্বীপ, দত্তপুলিয়া, তেহট্ট, করিমপুর সর্বত্রই এদিন সকালে মিছিল বের করে বামেরা। বন্ধ ঘিরে জেলায় কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সকালে শান্তিপুরে রেল অবরোধ করেন বাম ও কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা। পাশাপাশি বন্ধের সমর্থনে মিছিলেও শোনা যায় ‘খেলা হবে’ স্লোগান। এদিন সকাল প্রায় সাড়ে ৯টা নাগাদ শান্তিপুর রেলস্টেশন সংলগ্ন রেলগেট ও ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধের পাশাপাশি সড়কেই ফুটবল খেলতে দেখা যায় বন্ধ সমর্থনকারীদের। সকাল ১০টা নাগাদ আপ শিয়ালদহ-শান্তিপুর লোকাল প্ল্যাটফর্মে ঢোকার আগে অবরোধ করা হয়। সিপিএমের নদীয়া জেলা সম্পাদক সুমিত দে বলেন, সার্বিকভাবে জেলাজুড়ে বন্ধ অনেকাংশেই সফল হয়েছে।