বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যার বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
মেদিনীপুরের সভায় সুব্রতবাবু বলেন, আমরা গরিব হয়েই উন্মুক্ত মন নিয়ে বাঁচতে চাই। টাটা, বিড়লা, ডালমিয়া হতে চাই না। গরিব হয়েই দু’মুঠো খেয়ে মাথা উঁচু করে বাঁচতে চাই। বড়লোক হতে চাই না। কেশিয়াড়ির সভায় তিনি বলেন, ওরা ১০ কোটি টাকা খরচ করে এক-একটা রথ তৈরি করেছে, ভাবতে পারেন! আমরা জানি, রথে ঠাকুর থাকেন। কিন্তু ওদের রথে মানুষ চাপে। ওরা রাজনীতির বৈতরণী পার হওয়ার জন্য রামকে রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছে। এই রাজনীতির বিরুদ্ধেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াই।
মেদিনীপুরে তিনি বলেন, আমরা বলছি আপনারা যদি আমাদের আশীর্বাদ করেন, তাহলে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধামন্ত্রীর পার্টি আজও বলতে পারল না, ওদের কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন। এটাই সংসদীয় গণতন্ত্রে বড় বিপদ। কারা এমএলএ হলেন, সেটা বড় কথা নয়। কে রাজ্যটা চালাবেন, সেটাই বড় কথা। যিনি মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি, ভাষা, বিদ্যা সম্পর্কে জানতে তো হবেই।
সুব্রতবাবু বলেন, সত্যের সঙ্গে অসত্যের লড়াই হোক। মিথ্যা প্রচারের বিরুদ্ধে লড়াই হোক। লোকসভা নির্বাচনে সিপিএমের ১৮ শতাংশ ভোট চলে গিয়েছিল বলেই বিজেপি ১৮টি আসনে জয়ী হয়েছিল। সেই ভোট ফিরে এলে বিজেপি আটটি আসনও পাবে না। সিপিএমও ওই ভোটটা ফিরিয়ে আনতে মরিয়া। ওরা রাস্তায় নেমেছে।
তিনি বলেন, যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সরকারকে নিজের যুক্তি দিয়ে পছন্দ করেন না, তাঁদের বক্তব্য ও চিন্তাকেও মান্যতা দিতে হয়। এর নামই হল সংসদীয় গণতন্ত্র। এখানে ভোটভিক্ষা করা অন্যায় নয়। লজ্জা বা অপরাধও নয়। ভোট চাইতে হয়, কলার ধরে আদায় করা যায় না।