উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
কান্দি মহকুমা হাসপাতালের দক্ষিণ দিকে ও কান্দি রাজ কলেজ থেকে কয়েকশো মিটার দূরে রয়েছে ওই ছাত্রাবাস। ১৯৫০ সালে কান্দি রাজ কলেজ তৈরি হয়। বর্তমানে প্রায় ৬ হাজার ছাত্রছাত্রী পড়াশুনা করেন কলেজে। ১৯৬২ সালে কলেজের ওই ছাত্রাবাস তৈরি হয়। দোতলা ছাত্রাবাসের দু’দিকে লম্বা লাইন করে ছাত্রদের থাকার ঘর রয়েছে। রয়েছে ডাইনিং রুম, কমন রুম। কলেজের প্রাক্তন ছাত্ররা জানান, শুধু পড়াশুনা নয়। গল্প-কবিতার আসরে একসময় গমগম করত ওই ছাত্রাবাস। কিন্তু ১২০ জনের ওই ছাত্রাবাসের ভগ্নদশার কারণে আট বছর ধরে এটি তালাবন্ধ হয়ে রয়েছে। ২০১২ সালে ছাত্রাবাসের একাংশ ভেঙে পড়ে। এরপর প্রশাসনের পক্ষ থেকে এটি পাকাপাকিভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
সম্প্রতি দেখা গিয়েছে, সেখানে ছাদের ঢালাই খুলে পড়ছে। ছাদ থেকে জল চুঁইয়ে পড়ছে। দেওয়ালের রং চটে শ্যাওলা জন্মেছে। চারদিকে আগাছা। ভিতরে পড়ে থাকছে ভাঙা কাচের বোতল। সামনেটা কচুরিপানা জন্মে আস্ত পুকুরের চেহারা নিয়েছে। কান্দি শহরের মাঝখানে একেবারে ভয়ঙ্কর পরিবেশ। যা দেখে অনেকে কটাক্ষ করে বলেন, এটি কলেজের পোড়োবাড়ি বা হানাবাড়ি। রাত হলেই নাকি ভূতের আনাগোনা হয়। ওই ছাত্রাবাসের সামনে একটি শ্রমিক সংগঠনের অফিসের কর্মী তাহের শেখ বলেন, রাত হলেই ওখান থেকে কুকুর ও শিয়ালের ডাক শোনা যায়। ভয়ে কেউ ওদিকে তাকাই না পর্যন্ত। রাতে মাতালদেরও উৎপাত হয়। তাই স্থানীয় বাসিন্দা থেকে কলেজ ছাত্ররা অবিলম্বে ছাত্রাবাসের সংস্কারের দাবি করছেন। কলেজ ছাত্র সৌভিক ভট্টাচার্য বলেন, ছাত্রাবাস বন্ধ থাকার কারণে দূরের ছাত্ররা থেকে পড়াশুনা করতে পারছেন না। রাজ্যে বিভিন্ন জায়গায় নতুন নতুন ছাত্রাবাস হচ্ছে। অথচ কান্দির এই ছাত্রাবাস সংস্কারের উদ্যোগ কেউ নিচ্ছে না। এটা কান্দির লজ্জা।
এবিষয়ে কান্দি রাজ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাসিরুদ্দিন মণ্ডল বলেন, ওই ছাত্রাবাস সংস্কারের জন্য আমরা প্রায় দু’বছর আগে রাজ্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও অর্থ আসেনি। টাকা এলে এটির সংস্কার করে ফের তা ছাত্রদের জন্য খুলে দেওয়া হবে।