বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনাচিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই জেলার বিভিন্ন ব্লক সহ জেলা হাসপাতালে চিকিৎসকের ঘাটতি ছিল। তার ফলে পরিষেবা দিতে সমস্যা হচ্ছিল। বিভিন্ন সময় চিকিৎসক, নার্সিং স্টাফ নিয়োগের দাবি জানানো হয়। অবশেষে জেলার বিভিন্ন ব্লক হাসপাতালে জেনারেল ডিউটি মেডিক্যাল অফিসাররা কাজে যোগ দিয়েছেন।
তবে স্বাস্থ্য দপ্তরের একাংশের দাবি, চিকিৎসক, নার্সিং স্টাফ কাজে যোগ দিলেও বহু জায়গায় কোয়ার্টার নিয়ে সমস্যা রয়েছে। সেক্ষেত্রে অবশ্য কিছুটা অসুবিধা হবে। তবে সম্প্রতি কাজে যোগ দেওয়া একাধিক মেডিক্যাল অফিসার, নার্সের বাড়ি বীরভূম জেলারই বিভিন্ন প্রান্তে। ফলে অনেকের ক্ষেত্রে থাকার সমস্যা হবে না। স্বাস্থ্য দপ্তরের দাবি, কিছু ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কোয়ার্টার রয়েছে। সেখানে তাঁরা থাকতে পারবেন।
সাঁইথিয়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালের বিএমওএইচ নাসির ইকবাল বলেন, এই হাসপাতালে তিনজন মেডিক্যাল অফিসার কাজে যোগ দিয়েছেন। তাঁদের বাড়ি সিউড়িতেই। চাহিদা আরও বেশি থাকলেও বর্তমানে কাজ চলার মতো অবস্থায় এসেছে।
রামপুরহাট স্বাস্থ্যজেলার সিএমওএইচ রবীন্দ্রনাথ প্রধান বলেন, এখানেও আপাতত চারজন মেডিক্যাল অফিসার ও ৬৩ জন নার্স কাজে যোগদান করেছেন। রামপুরহাট স্বাস্থ্যজেলায় ১৩ জন মেডিক্যাল অফিসারের পোস্টিং হয়েছে। বাকিদের যোগদানের ব্যাপারে কাজ চলছে। কিছু ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শূন্যপদ ছিল। সেখানে তাঁরা যোগদান করেছেন। এর ফলে কাজের অনেকটাই সুবিধা হবে। আমরা খুবই স্বস্তি পেয়েছি। নবনিযুক্ত মেডিক্যাল অফিসার ও নার্সদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। রোগীরা আরও উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন।
প্রসঙ্গত, করোনা পরীক্ষা করার জন্য প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায় শিবির করা হচ্ছে। তাতে শতাধিক ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। তারসঙ্গে হাসপাতালগুলিতেও রোগীর চাপ রয়েছে। তাই বর্তমান পরিস্থিতির কথা ভেবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেডিক্যাল অফিসার, নার্স নিয়োগের কথা ঘোষণা করেন। পুজোর আগেই বীরভূমে তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেইমতো চলতি মরশুমে মেডিক্যাল অফিসার ও নার্সরা কাজে যোগদান করছেন।
সাঁইথিয়ার বিধায়ক নীলাবতী সাহা বলেন, সাঁইথিয়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে অত্যধিক রোগীর চাপ থাকে। অথচ সেই তুলনায় মেডিক্যাল অফিসার ও স্টাফ ছিল না। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে তাঁদের নিয়োগ করেছেন। এর ফলে রোগীদের আরও বেশি করে পরিষেবা পেতে সুবিধা হবে।