কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
এবিষয়ে কাটোয়া পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছায় এবার শহরের ফুটপাত হকারদের নিয়ে একগুচ্ছ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তাঁদের ঋণ দেওয়া থেকে শুরু করে সরকারি নানা সুযোগ সুবিধার আওতায় আনা হবে। আমাদের এলাকার ফুটপাত হকারদের নামের তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছি।
প্রসঙ্গত, লকডাউন শুরু হতেই রাজ্যের বিভিন্ন শহরের ফুটপাতে হকারদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে লকডাউন উঠলেও তাঁদের বিক্রিবাটা কমে গিয়েছে। অনেকে চরম আর্থিক সঙ্কটে ভুগছেন। তাই তাঁদের পাশে দাঁড়াতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। ফুটপাত হকারদের নাম নথিভুক্ত করে ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, ফুটপাত হকারদের ব্যবসার জন্য ১০ হাজার টাকা বিনা সুদে ঋণ দেবে সরকার। এছাড়াও স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেওয়া ও অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য তৈরি করা সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় আনা হবে হকারদের। মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগে উচ্ছ্বসিত হকাররা। কাটোয়া শহরের কাছারি রোডে ফুটপাতের এক হকার বলেন, লকডাউনের জেরে আমরা বিপর্যস্ত। আমরা কেউ ফুটপাতে বসে খেলনা বিক্রি করি, কেউ চপ ভাজি। ক্রেতা না থাকলে দোকান খুলে রেখে কী লাভ। জমানো টাকাও প্রায় শেষ। সরকার ব্যবস্থা করলে খুবই উপকৃত হব।
জানা গিয়েছে, কাটোয়া শহরের কাছারি রোড, স্টেশন বাজার রোড, টেলিফোন ময়দান রোডে বসা সমস্ত ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের উপর সমীক্ষা চালাচ্ছে পুরসভা। মূলত কতদিন ধরে তাঁরা ব্যবসা করছেন, মাসে কত আয় হয়, সবকিছু তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তবে, রাস্তায় যাঁরা ফেরি করেন, তাঁরা এই বিশেষ প্রকল্পের আওতায় আসবেন না।
শহরের ফুটপাত ব্যবসায়ীরা বলেন, আমরা ফুটপাতে বসে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করছি। আমাদের নিয়ে কেউ কোনওদিন ভাবেনি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আমাদের কথা মনে রেখেছেন, এতেই আমরা খুশি। এই উদ্যোগের ফলে বহু পরিবার উপকৃত হবে।