কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
জানা গিয়েছে, ১৯৬০ সালে ওই ব্রিজ তৈরি হয়। সেতুটি তৈরি হওয়ার পরে উপরের অংশে মাঝে মধ্যে রাস্তায় বিটুমিনের প্রলেপ দেওয়া ছাড়া অন্য কোনও বড় মাপের সংস্কার হয়নি। এই ব্রিজের উপর দিয়ে চলাচল করে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গগামী বহু যানবাহন। এছাড়া নলহাটির পাথর শিল্পাঞ্চল থেকে পাথরবোঝাই লরি এই ব্রিজের উপর দিয়েই মুর্শিদাবাদ ও কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াত করে। নিত্যদিন সংকীর্ণ এই ব্রিজে যানজট তৈরি হয়। বর্তমানে ব্রিজের একটা অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে একদিক দিয়ে হাল্কা যানবাহন চলাচল করায় যানজট তীব্রতর হয়েছে।
এদিন জেলা প্রশাসন বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, মেরামতের কাজ চলায় এদিন থেকে ১৫ দিন পণ্যবাহী যানবাহন বন্ধ থাকবে। মুর্শিদাবাদ থেকে বীরভূম ও বর্ধমানের দিকে আসা মালবাহী যানগুলিকে উমরপুর ও মোড়গ্রাম মোড় থেকে মুর্শিদাবাদের শেরপুর হয়ে এই জেলার মাড়গ্রামের অভিমুখে চলাচল করবে। বীরভূম ও বর্ধমান থেকে নলহাটি ও মুর্শিদাবাদ অভিমুখে পণ্যবাহী যান ময়ূরেশ্বর, তারাপীঠ ও মাড়গ্রাম হয়ে ঘুরপথে চলাচল করবে। ১৪ চাকার বা বড় কন্টেনারগুলিকে মহম্মদবাজারের শেওরাকুড়ি মোড় থেকে রানিশ্বরের দিকে ঘোরানো করা হবে। তবে, ছোট যানবাহন বা বাস ব্রিজের একদিক দিয়ে চলাচল করবে। প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, সেই সংখ্যাটাও অবশ্য কম নয়। ফলে, যানজট হচ্ছে ঠিকই। তবে, তা নিয়ন্ত্রণে ব্রিজের দু’দিকেই পুলিস মোতায়েন রয়েছে। বাসচালকরা বলেন, ব্রিজ ওঠার মুখে পুলিস যাত্রীদের নামিয়ে খালি গাড়ি পার করছে। যাত্রীরা হেঁটে প্রায় ১৫০ মিটার ব্রিজের ওপারে অপেক্ষা করছেন। সেখান থেকে ওই যাত্রীদের চাপিয়ে দীর্ঘ যানজট পেরিয়ে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। তাঁরা বলেন, সংকীর্ণ ব্রিজে যানজট নিত্য সমস্যা। এখন যানজট কয়েকগুণ বেড়েছে। এমনিতেই যান চলাচলের সময় ব্রিজটি দোলে। যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে। জাতীয় সড়কের নির্বাহী বাস্তুকার নিশিকান্ত সিংহ বলেন, বহু পুরনো ব্রিজে ওভারলোড যান চলাচলের জন্যই এই হাল। বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্ত অংশের চারপাশ কাটা হচ্ছে। দু’-তিনদিন পরে সেখানে ঢালাই হবে। এরপর কয়েকদিন যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, ১৯ দিন আগে একইভাবে জাতীয় সড়কের নলহাটির গম্ভীরা সেতুর একাংশ ভেঙে শিক বেরিয়ে পড়ে। সেটা মেরামত হতে না হতেই ফের ব্রাহ্মণী ব্রিজের একই অবস্থা। নির্বাহী বাস্তুকারের দাবি, ওভারলোড বন্ধ না হলে সব ব্রিজেরই এই অবস্থাই হবে।