সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক, কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই রামপুরহাট মহকুমায় দেড়শো ছাড়িয়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। যেভাবে প্রতিদিন সংখ্যাটা বাড়ছে তাতে সংক্রমণ কোথায় গিয়ে থামবে, কেউ জানে না। এত সংখ্যক আক্রান্তের চিকিৎসা কীভাবে হবে, সেটাও এখন বড় প্রশ্ন। এদিকে প্রতিদিনই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন মহকুমার বিভিন্ন প্রান্তের রোগীরা। লাগোয়া ঝাড়খণ্ড ও মুর্শিদাবাদ থেকেও চিকিৎসা পরিষেবা নিতে এই মেডিক্যালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হচ্ছেন। শুধুমাত্র সন্দেহভাজন রোগীদের ট্রুন্যাট পরীক্ষা করা হচ্ছে। রিপোর্ট পজিটিভ হলে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখে নিশ্চিত হতে ফের নমুনা পাঠানো হচ্ছে কলকাতায়। সেখান থেকেও পজিটিভ রিপোর্ট আসার পর আক্রান্তকে করোনা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হচ্ছে। কিন্তু, রিপোর্ট আসতে দেরি হওয়ায় এই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকা অন্য রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল। তাই আইসোলেশন ওয়ার্ডকে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে পৃথক করার উদ্যোগ নিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। জেলায় এখনও পর্যন্ত যেসব রোগীর দেহে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে, তাঁরা প্রায় সকলেই উপসর্গহীন পরিযায়ী। আগামী কয়েকদিনে আরও কয়েক হাজার পরিযায়ী জেলায় আসবেন ধরে তৎপরতা বেড়েছে প্রশাসনে। ইতিমধ্যে জেলার প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দু’টি করে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা হয়েছে। ভিনরাজ্য থেকে ফেরা পরিযায়ীদের সাতদিন সেখানে থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সেখানে উপসর্গ দেখা দিলে তবেই করোনা পরীক্ষা করা হবে। এদিকে অনেকে প্রশাসনের নজর এড়িয়ে বাড়ি ঢুকে পড়ছেন। অসুস্থতা দেখা দিলে হাসপাতালে আসছেন। তাঁদের অনেকেই ভিনরাজ্য থেকে ফেরার তথ্য চেপে যাচ্ছেন। ফলে, হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে রেখেই তাঁদের চিকিৎসা করা হচ্ছে। উপসর্গ দেখা দিলে তবেই ওই বিল্ডিংয়ের আইসোলেশন ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হচ্ছে। কিন্তু একই বিল্ডিং, একই রাস্তা, একই লিফ্ট ব্যবহারের ফলে সংক্রমণ অন্য রোগীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে বলে মনে করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যা সামাল দেওয়া মুশকিল হয়ে পড়বে। তাই ওই বিল্ডিংয়ের আইসোলেশন ওয়ার্ড বন্ধ করা হচ্ছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরনো বিল্ডিংয়ের ডায়ারিয়া বিভাগকে সরিয়ে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে ওখান থেকে আইসোলেশন ওয়ার্ডকে সরিয়ে আনা হচ্ছে পুরনো ব্লিডিংয়ে। সেখানে ৪০ শয্যার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এমএসভিপি বলেন, ডায়ারিয়া বিভাগে ভর্তি থাকা রোগীদের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হচ্ছে। জীবাণুমুক্ত করার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেখানে আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু করা হচ্ছে। শুধুমাত্র উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীদের ওই আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হবে। সেখানে থেকেই তাঁদের সোয়াব ট্রুন্যাট পরীক্ষা করা হবে। পজিটিভ এলে কলকাতায় পাঠিয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর আক্রান্তকে করোনা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে।