নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: লকডাউনে দেশের সর্বত্র গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলি আটকে রয়েছে। ব্যতিক্রম নয় প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রও। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কর্তাদের চিন্তা বাড়িয়েছে দেশীয় প্রযুক্তিতে প্রথম তৈরি হতে চলা যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী ‘আইএনএস বিক্রান্ত’। মন্ত্রক সূত্রে খবর, নৌবাহিনীর হাতে এই রণতরী হস্তান্তরের যে সময়সীমা নির্দিষ্ট হয়েছিল, তার থেকে আরও ছ’মাস দেরি হতে পারে। ইতিমধ্যেই এব্যাপারে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে সাউথ ব্লকে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, করোনার জেরে কর্মীরা আসছেন না। মন্ত্রকের এক কর্তা ফোনে বলেন, ‘আইএনএস বিক্রান্ত’ হস্তান্তরের সময়সীমা পিছতে পিছতে অনেকটাই দেরি হয়ে যাচ্ছে। যে প্রযুক্তিতে এই রণতরী তৈরি হওয়ার কথা ছিল, এখন তার থেকেও আধুনিক প্রযুক্তি চলে এসেছে। শেষ পর্যন্ত কবে ওই রণতরী ভারতীয় নৌবাহিনীর হাতে আসবে, সেটাই মূল বিবেচ্য। কোচি শিপবিল্ডার্সে তৈরি হচ্ছে ‘আইএনএস বিক্রান্ত’। প্রায় ৪০ হাজার টন ওজনের রণতরী তৈরিতে নিজস্ব পরিকাঠামো এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। বর্তমানে দেশের নৌবাহিনীর হাতে একমাত্র যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী রয়েছে ‘আইএনএস বিক্রমাদিত্য’। আইএনএস বিরাট এবং আইএনএস বিক্রান্ত (পূর্বতন) বছরখানেক হল ‘ডিকমিশনড’ হয়ে গিয়েছে। নৌবাহিনীর কর্তাদের কথায়, চীন পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগর এবং ভারত মহাসাগরে ‘দাদাগিরি’ কায়েম করার জন্য অন্তত পাঁচ-ছ’টি যুদ্ধবিমানবাহী আধুনিক রণতরী তৈরি করছে। স্যাটেলাইটের মাধ্যমে প্রাপ্ত ছবিতে তা ফুটে উঠেছে।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি নৌবাহিনীর কর্তারা কোচি শিপবিল্ডার্স কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বলেছেন, যেখানে চীন আমেরিকাকে টক্কর দিতে নিজস্ব নৌবহিনীর ক্ষমতা ও শক্তি বাড়িয়ে যাচ্ছে, সেখানে এত শ্লথগতিতে বিক্রান্ত তৈরির কাজ এগলে চলবে না। কাজে গতি আনতে হবে। অন্তত ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই নৌবাহিনী বিক্রান্তকে নিজেদের হাতে চাইছে।