সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক, কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
এদিকে করোনার সংক্রমণ কোন স্তরে রয়েছে, তা দেখতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ১০টি ব্লক ও একটি পুরসভা এলাকায় ক্লাস্টার গড়ে ৪০জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। বুধ ও বৃহস্পতিবার দু’দিন ওই নমুনা সংগ্রহ হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর স্বাস্থ্যজেলা এলাকায় ছ’টি ব্লক ও তমলুক পুরসভা এবং নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্যজেলার অধীনে খেজুরি-২, রামনগর-১ ও কাঁথি-৩ব্লকে একটি নির্দিষ্ট জায়গার বাসিন্দাদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্যজেলার ডেপুটি সিএমওএইচ-২ সমুদ্র সেনগুপ্ত বলেন, আইসিএমআরের নির্দেশে ‘নমুনা সমীক্ষা’ শুরু হয়েছে। তাতে অ্যান্ডিবডির উপস্থিতি লক্ষ্য করা হবে। মূলত গোষ্ঠী সংক্রমণের বিষয় জানতেই এই ‘নমুনা সমীক্ষা’।
শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বল্লুক-২গ্রাম পঞ্চায়েতের মীরাবাড় এবং খারুই-১গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত গোবরা গ্রামের দুই পরিযায়ী শ্রমিক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মীরাবাড়ের ২৭বছর বয়সি ওই যুবক মহারাষ্ট্র থেকে ফিরে একটি ভাড়া বাড়িতে ছিলেন। অন্যদিকে, ৩৭বছর বয়সি গোবরা গ্রামের পরিযায়ী শ্রমিক জানুবসানে শ্বশুরবাড়িতে ছিলেন। এগরা পুরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডে এক পরিযায়ী শ্রমিক করোনা আক্রান্ত। তিনি মহারাষ্ট্র থেকে দিন কয়েক আগে ফিরেছিলেন। ভগবানপুর-১ব্লকের মহম্মদপুর-১গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিমবাড় এবং শিমুলিয়া-১গ্রাম পঞ্চায়েতের কাটগেছিয়া গ্রামের দু’জন পরিযায়ী শ্রমিক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। বুধবার দুপুরে রিপোর্ট আসার পরই তাঁদের বড়মায় ভর্তি করা হয়েছে। চণ্ডীপুর ব্লকের বৃন্দাবনপুর এবং নন্দপুর গ্রামের দু’জন করোনা পজিটিভ।
অপরদিকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল ব্লকের চকসাদি গ্রামের একজন এবং ঘাটাল পুরসভার গড়প্রতাপনগরের আর এক পরিযায়ী শ্রমিক করোনা আক্রান্ত। দাসপুর-১ব্লকের কলাইকুণ্ডু গ্রামের একজন, তাঁতার খাঁয়ের গ্রামের একজন এবং ধর্মা গ্রামের একজন করোনা পজিটিভ। দাসপুর-২ব্লকের চককিশোরপুরে একই পরিবারে দুই ভাই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। একই দিনে একটি মহকুমায় সাতজন আক্রান্ত হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
এছাড়া কেশপুর ব্লকের অকুলসারা গ্রামের ২০বছর বয়সি এক পরিযায়ী শ্রমিক করোনা আক্রান্ত। কেশপুর থানার বাঁশগেড়িয়া গ্রাম এবং যৌথহরি গ্রামের দু’জন পরিযায়ী শ্রমিকও করোনা পজিটিভ। মেদিনীপুর সদর ব্লকের বাজপাড়া গ্রামের ২৬বছর বয়সি এবং ৩০বছর বয়সি দুই পরিযায়ী শ্রমিক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। গড়বেতা-১ব্লকের খড়কুশমা গ্রামে গুজরাত ফেরত ১৭বছর বয়সি এক পরিযায়ী শ্রমিকেরও পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে।
মোহনপুর ব্লকের তনুয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মহারাষ্ট্র থেকে আসা এক পরিযায়ী শ্রমিক করোনা আক্রান্ত। কেশপুর ব্লকের পঞ্চমী গ্রামের এক পরিযায়ী শ্রমিক দম্পতি তাঁদের দু’বছরের ছেলেকে নিয়ে লকডাউনের মধ্যে বাড়িতে ফিরেছেন। ওই শিশুর বাবা করোনা আক্রান্ত হয়ে দিন পাঁচেক আগেই বড়মায় ভর্তি হয়েছেন। তিনি এখন চিকিৎসাধীন। মা ও শিশুকে মেদিনীপুরে আয়ুষ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে দু’জনের নমুনা টেস্টের পর শিশুর পজিটিভ এবং মায়ের নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। এরপর ওই শিশুকে বড়মায় আনা হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ২১জন আক্রান্ত ভর্তি হওয়ার পর মেচগ্রামে ওই করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭০জন। আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগই পরিযায়ী শ্রমিক এবং মহারাষ্ট্র থেকে তাঁরা ফিরেছেন। পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে এখনও অনেকের করোনা টেস্ট বাকি আছে।