Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আমাদেরও দম
আটকে আসছে
মৃণালকান্তি দাস

মার্কিন ভণ্ডামি! এটাই ছিল আমেরিকার প্রথম সারির সংবাদপত্র ওয়াশিংটন পোস্টের সম্পাদকীয় বিশ্লেষণ। ৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডের হত্যাকাণ্ড। জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু রাতারাতি বদলে দিয়েছে করোনা আক্রান্ত নিস্তব্ধ আমেরিকাকে। একেই করোনার থাবায় এক লাখেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি। তার উপর বর্ণবিদ্বেষ বিরোধী আন্দোলন পরিস্থিতিকে আরও অগ্নিগর্ভ করে তুলেছে। ওয়াশিংটনের রাস্তায় চলছে অবাধে ভাঙচুর। নিউ ইয়র্কের রাস্তায় দোতলা সমান আগুন জ্বলছে। কোথাও পুলিস কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ছে। কোথাও পুলিসই হাঁটু মুড়ে ক্ষমা চাইছে বিক্ষোভকারীদের কাছে। দফায় দফায় ঘেরাও হচ্ছে হোয়াইট হাউসও। বিক্ষোভকারীদের ভয়ে বিশ্ব-কাঁপানো মার্কিন রাষ্ট্রপতিকে লুকিয়ে পড়তে হচ্ছে গোপন বাঙ্কারে। প্রায় ৪০ শহরে জারি করা হয়েছে কারফিউ।
ঘটনাটি ছিল সাদামাটা। বছর ছেচল্লিশের জর্জ ফ্লয়েড একটা দোকানে ঢুকেছিলেন সিগারেট কিনতে। ওই দোকানের এক কর্মচারীর অভিযোগ, ফ্লয়েড ২০ ডলারের একটা জাল নোট ব্যবহার করেছিলেন। ওই কর্মী যখন তা বুঝতে পারেন, ফ্লয়েড ততক্ষণে দোকান থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে ওই কর্মী দোকানের বাইরে বেরিয়ে আসেন। দেখেন ফ্লয়েড তাঁর গাড়িতে বসে। তাঁকে জাল নোটের ব্যাপারে জানালে ফ্লয়েড অভিযোগ অস্বীকার করেন। স্বভাবতই ওই দোকানকর্মী পুলিস ডাকেন। মুহূর্তে পুলিস ছুটে আসে। ফ্লয়েড পুলিসের কাছেও অভিযোগ অস্বীকার করেন। ওই দোকানের ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরায় দেখা গিয়েছে, এরপরই উত্তেজিত হয়ে পড়েন ওই শ্বেতাঙ্গ পুলিসকর্তা ডেরেক শভিন। ফ্লয়েড ‘অপরাধী’, এমন কোনও তথ্য পুলিসের কাছে ছিল না। ফ্লয়েডের কাছে কোনও অস্ত্রও ছিল না। ফ্লয়েড কাউকে মারতেও উদ্যত হননি। তবু ফ্লয়েডকে গাড়ি থেকে টেনে বের করে, তাঁকে মাটিতে ফেলে দিয়ে, নৃশংসের মতো তাঁর ঘাড় নিজের হাঁটু দিয়ে সজোরে চেপে ধরেন শভিন। সেই চাপ বাড়তেই থাকে। দম বন্ধ হয়ে আসে। ফ্লয়েড শেষ মুহূর্তে চেঁচিয়ে ওঠেন, ‘আই কান্ট ব্রিদ’—আমার দম আটকে আসছে, আমি শ্বাস নিতে পারছি না। ফ্লয়েডের জীবনের বাতাস কেড়ে নিয়েছিলেন শ্বেতাঙ্গ পুলিসকর্তা। ভয়ঙ্কর সেই দৃশ্য। ভাবুন একবার, হাসপাতালে শুয়ে শেষ নিঃশ্বাসের আগে করোনা আক্রান্ত কোনও মানুষ ঠিক যেমন আর্তনাদ করে ওঠেন। দম আটকে আসছে...। শ্বাস নেওয়ার কী করুণ আকুতি! ঠিক এমন করেই তো আমেরিকার জনগণ শহরে শহরে আগুন জ্বেলে এক লাখ আমেরিকানের মৃত্যু আর অসহ্য অর্থনৈতিক কষ্টের জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে দায়ী করে বলছেন, ‘আর শ্বাস নিতে পারছি না’।
মহামারী আর বঞ্চনার জালে আটকে যাওয়া সব দুর্গত মানুষের হৃদয়ের আওয়াজটাই জর্জের মুখ দিয়ে বেরিয়েছে, ‘আমার দম আটকে আসছে’। এ তো দুনিয়ার কোটি কোটি মানুষের যন্ত্রণার কথা। বৈষম্য থাকলেই বিপ্লব হয় না। কিন্তু হঠাৎ ক্রয়ক্ষমতা হারিয়ে ফেলা মানুষ খিদের জ্বালায় দিশাহীন হয়ে রাস্তায় নেমে পড়তে পারে। বৈষম্যের সমাজটা হল ‘মাইনফিল্ড’-এর মতো। মানবজমিনের তলায় এখানে–সেখানে ছড়িয়ে থাকে অসন্তোষের ‘বোমা’। কখন কোনটার উপর কার পা পড়বে, আর তখন কী ধরনের বিস্ফোরণ ঘটবে, তার পূর্বাভাস জানা কোনও রাষ্ট্রের পক্ষেই সম্ভব নয়। আবার কখন কোন আর্তনাদ বোবা হয়ে থাকা মানুষের মুখে প্রতিবাদের ভাষা ফোটাবে, তা–ও আগাম বলা যায় না।
শিল্পায়নের প্রথম যুগে শ্রমিকরা যন্ত্রণা সইতে না পারলে কারখানা ভাঙচুর করত, আধুনিক সভ্যতার বঞ্চিত মানুষ দোকানপাটে হামলা চালায়, লুটপাট করে। তফাত এটাই। বিক্ষোভকারীরা কারা? তারা শুধু ফ্লয়েডের মতো বৈষম্যের শিকার কালো বা বাদামি মানুষ নন—ভীষণ বৈষম্যপূর্ণ আমেরিকান অর্থনীতির সৌধ যাদের মাথার উপর ভেঙে পড়েছে, তারাও নেমেছে রাজপথে। যে এক লাখের বেশি মার্কিন নাগরিক করোনার ছোবলে জীবন হারিয়েছেন, যাঁদের মধ্যে কালো ও গরিব মানুষেরাই বেশি— এঁরা তাঁদেরও স্বজন, তাঁদের মতোই বিপন্ন। আরব বসন্তের স্ফুলিঙ্গ জ্বালানো তিউনিসীয় ফেরিওয়ালা মহামেদ বুয়াজিজির মৃত্যুর কথা মনে আছে? জর্জ ফ্লয়েড যেন সেই রকম মার্কিন বিক্ষোভের প্রতীক হয়ে উঠেছেন।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের কলাম লেখক রেক্সোনা গে একরাশ যন্ত্রণা নিয়ে লিখেছেন: ‘করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক আজ না হয় কাল আবিষ্কৃত হবেই। কিন্তু আমেরিকার মতো মহান দেশে বর্ণবিদ্বেষের যে বিষাক্ত ভাইরাস ছড়িয়ে আছে, তার টিকা কি আবিষ্কার করা যাবে? শুধু হ্যাশট্যাগের বর্ণবিদ্বেষ বিরোধিতা কি আমেরিকাকে রক্ষা করতে পারবে?’ আমেরিকার কালো মানুষেরা চারশো বছর ধরে অনেক অত্যাচার সহ্য করেছেন। দুশো বছর শিকার হয়েছেন দাসপ্রথা নামে বর্বরধারায়। আর আরও একশো বছর ধরে তীব্র বর্ণবৈষম্য, অর্থনৈতিক বৈষম্য ও রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের। তাঁদের মানবাধিকার হরণ করা হয়েছে নিষ্ঠুরভাবে। শুনলে অবাক হবেন, কোথাও কোথাও আজও শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গদের বাথরুম, এমনকী জলের কলও পর্যন্ত আলাদা।
‘আমার দম আটকে আসছে’ লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভকারীরা হোয়াইট হাউসের বাইরে। কার্ফু ভেঙেই নিউ ইয়র্ক, আটলান্টা, লাস ভেগাসের রাস্তায় রাস্তায় দেদার ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগের ঘটনা। সেই ১৯৬৮ সালে মার্টিন লুথার কিংয়ের হত্যার পর যে বিশাল জনরোষ আমেরিকার বিবেককে নাড়া দিয়ে গিয়েছিল, আজ আরও একবার যেন সেই জনরোষের প্রতিচ্ছবি।
এই ভয়ঙ্কর স্বাস্থ্যসঙ্কটের মধ্যেও লকডাউন ও সামাজিক দূরত্ব অগ্রাহ্য করে লক্ষ লক্ষ তরুণ-তরুণী রাস্তায় নেমেছেন কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডের ওপর পুলিসের বর্বরতার প্রতিবাদ জানাতে। মিনিয়াপোলিসে নিরস্ত্র ফ্লয়েডের ঘাড় হাঁটু দিয়ে চেপে সশস্ত্র পুলিশ অফিসারের মেরে ফেলার ছবি এখন গোটা দুনিয়ায় ভাইরাল। বিশ্বের সর্বত্র মানুষ এই আমেরিকাকে দেখে স্তম্ভিত। বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে আজীবন লড়াই করা মার্টিন লুথার কিংয়ের হত্যাকাণ্ডের ৫২ বছর পর আজ আমেরিকার একটা রিপোর্ট বলছে, মিনিয়াপোলিস থেকে শিকাগো, নিউ ইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসি, পশ্চিমে লস অ্যাঞ্জেলেস, সানফ্রান্সিসকো, দক্ষিণে হিউস্টন ও ডালাস, এমনকী ছোট শহরেও, যেখানে পুলিসের অত্যাচার ও হত্যার ঘটনা বহু বার ঘটেছে। শুধু জর্জ ফ্লয়েড নন, ২০১৩-১৯ সাল পর্যন্ত আমেরিকায় ৭,৬৬৬ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে আছে সাউথ ক্যারোলিনার চার্লস্টন, যেখানে ২০১৪ সালে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক মাইকেল ব্রাউনকে পুলিস গুলি চালিয়ে মেরে ফেলেছিল। আছে নিউ ইয়র্কের ব্রঙ্কস, যেখানে আফ্রিকার গিনি থেকে পড়াশোনা করতে আসা যুবক আমাদু দিয়ালোকে বিনা কারণে পুলিস রাতের অন্ধকারে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল। আছে নিউ ইয়র্কের কুইন্স, যেখানে বিয়ের আগের রাতে ব্যাচেলর্স পার্টি করে বেরনোর সময় কৃষ্ণাঙ্গ যুবক শন বেলকে পুলিস খতম করে দিয়েছিল। মোট মাত্র ১৩ শতাংশ কালো মানুষের বাস হলেও, পুলিসি অত্যাচারে মৃতের সংখ্যা সাদা চামড়ার মানুষের থেকে প্রায় আড়াই গুণ বেশি। কিছু কিছু অঞ্চলে আরও বেশি। যেমন মিনেসোটাতে। যেখানে জর্জের বাড়ি, সেখানে ৪ গুণ।
একসময় আমেরিকা ছিল শিল্প-কারখানার দেশ। কিন্তু গত তিরিশ বছরে দেশটা হয়েছে রেস্টুরেন্ট, হোটেল আর বিনোদন–পরিষেবার দেশ। উৎপাদন চলে গিয়েছে চীনে বা অন্য কোথাও। বিনোদন-ব্যবসায় মজেছে মার্কিনিরা। এদিকে করোনার হানায় গত তিরিশ বছরে তৈরি হওয়া নতুন কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রগুলো ধসে গিয়েছে। করোনা-বিধ্বস্ত আমেরিকায় বেকারত্ব লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। তাই কোনও না কোনও অঘটনের ধাক্কায় পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হওয়া ছিল সময়ের অপেক্ষা।
সিস্টেম যদি বিভ্রাটে পড়ে বা ম্যালফাংশন করে, তাহলে শান্তির কলও ম্যালফাংশন করবে। কনজিউমারিজমের উৎসব হল ‘শপিং স্প্রি’ বা উদ্দাম কেনাকাটা। অথচ দোকানে থরে থরে জিনিস সাজানো কিন্তু কিনতে পারছে না অনেক মানুষ। ওই সব দোকানের সেলসম্যানরা বেতন পাচ্ছেন না। সরকার দরিদ্রদের জন্য যে ১২০০ ডলারের চেক দেবে বলেছে, তা পাওয়ার শর্ত পূরণ করাও কঠিন। ফলে অনেকেরই জুটছে না সরকারি সাহায্য। ফলে আগে থেকে তৈরি হওয়া সামাজিক মাইনফিল্ড বিস্ফোরিত হয়েছে জর্জের হত্যাকাণ্ডে। এই অবস্থায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জ্বলন্ত দেশের আগুনে ঘি ছড়িয়ে দিলেন। বিষাক্ত বিদ্বেষ নিয়ে ট্যুইটারে লিখলেন, ‘হোয়েন দ্য লুটিং স্টার্টস, দ্য শুটিং স্টার্টস’ (লুটতরাজ শুরু হলে গুলিও শুরু হবে)। পাড়ার মাস্তানদের ভাষায় বললেন, ‘কুকুর লেলিয়ে দেব। ঠান্ডা করে দেব ওই সব আন্দোলনকে’! ঠান্ডা তো দূরের কথা, আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে আন্দোলন। হিংসা, লুটপাট, আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া কখনওই সমর্থনযোগ্য নয়। কিন্তু আগুন জ্বলছে কেন?
ট্যুইন টাওয়ার ধ্বংসের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ আমেরিকানদের বলেছিলেন, ‘গো শপিং’। স্বাভাবিক জীবনে ফেরার আর কোনও পথ তাঁর মাথায় আসেনি হয়তো। কিন্তু এটাই সত্য যে, কনজিউমারিস্ট সমাজে শপিং মানে সমাজের বিকল্প সামাজিকতা, ‘ব্যাক টু নরমাল’। ট্রাম্পও তা-ই বলেছেন। কিন্তু হাতে টাকা না থাকা মানুষরা ‘নৈরাজ্য’-এর পথে ‘শপিং’ করছে। ‘শপিং ফর ফ্রি’—নিখরচা কেনাকাটা। যাকে আইনের ভাষায় বলা হয় ‘লুট’। কনজিউমারিজমের মুদ্রার এক পিঠে ‘শপিং স্প্রি’ থাকলে আরেক পিঠে থাকে এই ‘শপিং ফর ফ্রি’।
মার্কিন মুলুকে সেই ছোটবেলা থেকেই শেখানো হয়, ‘কেনাকাটাই আনন্দ, কেনাকাটাই নিরাপত্তা, কেনাকাটাই শক্তি’। শপিং মল হল, আধুনিক বাজারব্যবস্থার তীর্থ। যা কিনা সব অসুখ সারাবার ওষুধের দোকান। কে না জানে, মানুষ তার সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত জিনিস হাতের মুঠোয় না পেলে একসময় ঘৃণা করা শুরু করে। লন্ডন ও প্যারিস দাঙ্গার পর মার্কিন দাঙ্গায় শপিং মল পোড়ানোর হিড়িক আসলে সুখের দোকানে ঢুকতে না পারা, অযোগ্য ও বাতিল হয়ে যাওয়া ক্রেতাদের অসুখী আক্রোশ। তার উপর লিঙ্কন আর লুথারের নির্মিত সমতার মানচিত্র থেকে দিনান্তের আলোর মতোই হারিয়ে যাচ্ছে ‘বহুজাতিক’ আমেরিকা।
এই আমেরিকাই কি আমাদের সেই চেনা আমেরিকা, যার জন্য গর্ব বোধ করা যায়?
এই ‘নতুন’ আমেরিকাকে আমরা চিনি না। আমাদেরও দম আটকে আসছে!
কিছু বৃক্ষ স্বয়ং ইতিহাস
হারাধন চৌধুরী

 টানা ৬৮ দিনের লকডাউনের নিদারুণ যন্ত্রণা সবে কাটিয়ে উঠেছি আমরা। প্রবেশ করেছি আনলক-১ পর্বে। কেন্দ্রের সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী দিনে আরও দু’টি আনলক পর্ব পেরতে হবে। বিশদ

04th  June, 2020
ব্যর্থতার নামাবলি গায়ে
মোদিজির বর্ষপূর্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

 লকডাউনের চারটে ইনিংস শেষ করে আমরা ঢুকে পড়েছি প্রথম আনলক সিজনে। করোনা বিধ্বস্ত আমাদের জীবন বইতে শুরু করেছে এক নতুন খাতে। মাত্র কয়েক মাসেই আমাদের জীবনের সামগ্রিক চালচিত্র ম্যাজিকের মতো বদলে গিয়েছে।
বিশদ

03rd  June, 2020
হিসেব মেলানো ভার
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 সাত দু’গুণে কত হয়? উঁহু, ১৪ নয়। আপনি কখন বলছেন, তার উপর নির্ভর করছে। মানে, কাকেশ্বর কুচ্‌কুচে যদি মনে করে, আপনি বলার সময় ১৩ টাকা ১৪ আনা ৩ পাই হয়েছিল... মানে পুরোপুরি ১৪ হয়নি, তাহলে সেটাই। অর্থাৎ, হাতে একটা পেনসিল থাকছেই। বিশদ

02nd  June, 2020
সতর্ক প্রহরী
পি চিদম্বরম

ব্যারিস্টার ভি জি রো মাদ্রাজ হাইকোর্টের আইনজীবী ছিলেন। তিনি ছিলেন বাম-মনস্ক উদার। সমস্ত ধরনের বিজ্ঞানের ব্যবহারিক জ্ঞান, রাজনৈতিক শিক্ষা এবং শিল্প, সাহিত্য, নাটক প্রভৃতিকে জনপ্রিয় করে তুলতে তিনি পিপলস এডুকেশন সোসাইটি গড়েছিলেন।
বিশদ

01st  June, 2020
একটু সময় দিন,
পাশে দাঁড়ান
হিমাংশু সিংহ

বামফ্রন্ট সরকার ১৯৭৭ সালে ক্ষমতায় আসার পরের বছরই ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলা। ভেসে গিয়েছিল একের পর এক জেলা, দক্ষিণবঙ্গের বড় বড় শহর। কলকাতাও রেহাই পায়নি সেই বিপর্যয়ের হাত থেকে।
বিশদ

31st  May, 2020
বিশ্বাসযোগ্যতা ও বলিষ্ঠ
পদক্ষেপের এক বছর
রাজনাথ সিং

যে কোনও দেশের ইতিহাসে পাহাড়প্রমাণ পরিবর্তন দেখার সুযোগ খুব কমই আসে। ২০১৪ সালে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে এরকমই একটি বিরাট পরিবর্তন এসেছিল। দেশের মানুষ দুর্বল এবং দুর্নীতিগ্রস্ত প্রশাসনের হাত থেকে রেহাই পেতে চেয়েছিলেন।
বিশদ

30th  May, 2020
বন্দি যখন শিশুমন
তন্ময় মল্লিক

 ‘উফ, আর পারা যাচ্ছে না। কবে যে মুক্তি পাব?’ ‘কতদিন বাজার যাইনি। এইভাবে দমবন্ধ অবস্থায় থাকা যায়?’ ‘দিনরাত গাধার খাটুনি খাটছি। তার উপর তোদের জ্বালাতন। এবার ঠাস ঠাস করে চড়িয়ে দেব।’ লকডাউনের গৃহবন্দি জীবনে এমন সংলাপ আজ প্রায় ঘরে ঘরে।
বিশদ

30th  May, 2020
বাংলার দুর্ভাগ্য
সমৃদ্ধ দত্ত

এত বড় একটা সাইক্লোনে একটি রাজ্যের বৃহৎ অংশ একপ্রকার বিধ্বস্ত হয়ে গেল, অথচ গোটা দেশের কোনও দোলাচল নেই? প্রথমদিন ট্যুইটারে সমবেদনা জানিয়েই সকলে যে যার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেল? কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে এই ধ্বংসস্তূপ থেকে রাজ্যটাকে পুনরায় মাথা তুলে দাঁড়ানোর কোনও দৃপ্ত সহায়তা প্রতিজ্ঞাও তো দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না।
বিশদ

29th  May, 2020
ভাবুন, সুন্দরবন নেই আর উম-পুন
বয়ে গিয়েছে কলকাতার উপর দিয়ে!
হারাধন চৌধুরী

ভাঙা যায়নি অনুন্নয়নের ট্র্যাডিশন। সামান্য উন্নয়নেও তীব্র বৈষম্য। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা। চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যাও ক্রমবর্ধমান। পরিণামে কোটি কোটি মানুষ কাজের খোঁজে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন শত শত মাইল দূরে—চরম অনিশ্চয়তা আর বিপদকে সঙ্গী করে। অন্যদিকে, সঙ্কীর্ণ রাজনীতির বোড়ে হয়ে উঠেছেন দেশবাসীর প্রায় সকলে।
বিশদ

28th  May, 2020
‘আত্মসম্মান’ খ্যাত এক ভাঁড়ের রসিকতা
সন্দীপন বিশ্বাস 

অন্য দেশের রাজাদের মতো হবুরও আছে বিদূষক। অনেক বিদূষক তাঁর। তাঁদের তিনি ছড়িয়ে রেখেছেন বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে। তাঁরা সেই সব রাজ্যের প্রপালক। তাঁদের কাজ হল মহারাজ হবুর মুৎসুদ্দি করা। আর নানা ধরনের মন্তব্য করে অঙ্গরাজ্যের জনগণকে আনন্দ বিতরণ করা।  বিশদ

27th  May, 2020
মানবিকতার উপর
বিশ্বাসটা যেন রাখতে পারি
শান্তনু দত্তগুপ্ত

একটা ঝড়... যা পথে বসিয়েছিল সরযূ মণ্ডলকে। জানতেও পারেননি, কোথায় উড়ে গিয়ে পড়েছিল তাঁর ছাদটা। কিন্তু সে দুঃখ ছাপিয়ে গিয়েছিল এক অন্য আতঙ্ক... নির্জলা মরতে হবে না তো? জলেই তার বসত, অথচ সে জল মুখে দেওয়া যায় না... তেষ্টা মেটে না।   বিশদ

26th  May, 2020
ব্যয় করো, ঋণ করো, টাকার জোগান বাড়াও 

পি চিদম্বরম: প্রধানমন্ত্রী গত ১২ মে ২০ লক্ষ কোটি টাকার যে স্টিমুলাস প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন, গত সপ্তাহে আমি সেটার বিশ্লেষণ করেছিলাম। বিগত সপ্তাহে অর্থমন্ত্রী পাঁচ দফায় বিস্তারিতভাবে যে ঘোষণা করেছিলেন বিশেষজ্ঞ এবং অর্থনীতিবিদরা পরে সেসব কাটাছেঁড়া করেছেন।   বিশদ

25th  May, 2020
একনজরে
সংবাদদাতা, হরিশ্চন্দ্রপুর: বৃহস্পতিবার মালদহে তিনজনের মৃত্যু হল বজ্রপাতে। তাঁরা হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের বাসিন্দা। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতরা হলেন বিনু ওঁরাও (৫৫), সুলতান আহমেদ (২৩) ও মিঠু কর্মকার (৩৩)। বিনুর বাড়ি বাইশা গ্রামে। সুলতানের বাড়ি নারায়ণপুর গ্রামে ও মিঠুর বাড়ি দক্ষিণ ...

বেজিং, ৪ জুন (পিটিআই): চীনে একটি প্রাথমিক স্কুলে ছুরিকাহত হলেন পড়ুয়া ও শিক্ষক মিলিয়ে কমপক্ষে ৪০ জন। আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ গুয়াংজি প্রদেশের ওঝাউ শহরের একটি সরকারি স্কুলে ওই ঘটনা ঘটেছে। ...

  নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: করোনার দাপটে বিভিন্ন দেশ থেকে ফেরা পেশাদার ব্যক্তিদের জীবিকার সংস্থান করে দিতে উদ্যোগ নিল কেন্দ্রীয় সরকার। এঁদের জন্য তথ্যভাণ্ডার তৈরি করে নিয়োগকারী সংস্থা, রাজ্য সরকার এবং বণিকসভাগুলিকে পাঠানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। ...

  নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আগামী ১ আগস্ট ভারতে খুলছে ফিফার ট্রান্সফার উইন্ডো। আন্তঃরাজ্য ছাড়পত্রও শুরু হবে একই দিনে। বৃহস্পতিবার অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের সচিব কুশল দাস এই কথা জানিয়ে বলেছেন, ‘৯ জুন ভারতে ফিফার আন্তর্জাতিক উইন্ডো খোলার কথা ছিল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক, কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৩২: শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃতের রচনাকার মহেন্দ্রনাথ গুপ্তের (শ্রীম) মৃত্যু
১৯৩৬: অভিনেত্রী নূতনের জন্ম
১৯৫৯: শিল্পপতি অনিল আম্বানির জন্ম
১৯৭৪: অভিনেতা অহীন্দ্র চৌধুরির মৃত্যু
১৯৭৫ - মার্কিন অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলির জন্ম
১৯৮৫: জার্মান ফুটবলার লুকাস পোডোলোস্কির জন্ম

04th  June, 2020


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৭৪ টাকা ৭৬.৪৫ টাকা
পাউন্ড ৯৩.১৩ টাকা ৯৬.৪৪ টাকা
ইউরো ৮৩.২২ টাকা ৮৬.৩১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪১,৮৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৯,৭৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪০,৩৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  March, 2020

দিন পঞ্জিকা

দৃকসিদ্ধ: ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ৫ জুন ২০২০, শুক্রবার, পূর্ণিমা ৪৯/২৮ রাত্রি ১২/৪২। অনুরাধা নক্ষত্র ২৯/৩১ অপঃ ৪/৪৪। সূর্যোদয় ৪/৫৫/১২, সূর্যাস্ত ৬/১৪/৩২। অমৃতযোগ দিবা ১২/১ গতে ২/১৪ মধ্যে। রাত্রি ৮/২২ মধ্যে পুনক্ষ ১২/৩৮ গতে ২/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৩/২৯ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/১৫ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৫৫ গতে ১০/১৫ মধ্যে।
২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ৫ জুন ২০২০, শুক্রবার, পূর্ণিমা ১/১। অনুরাধা নক্ষত্র অপরাহ্ন ৫/১২। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১৬। অমৃতযোগ দিবা ১২/৬ গতে ২/৪৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/২৯ মধ্যে ও ১২/৪২ গতে ২/৪৮ মধ্যে ও ৩/৩০ গতে ৪/৫৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৬ গতে ১১/৩৬ মধ্যে কালরাত্রি ৮/৫৬ গতে ১০/১৬ মধ্যে।
১২ শওয়াল

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: শেয়ার বা ফাটকাতে লাভ হবে। বৃষ: ব্যবসায় শুভ। মিথুন: কর্মে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
বিশ্ব পরিবেশ দিবস১৯১০: মার্কিন লেখক ও হেনরির মৃত্যু১৯৬১: ভারতের টেনিস ...বিশদ

07:03:20 PM

রাজ্যে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯৪ 
রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৭২ জনের শরীরে মিলল করোনা ...বিশদ

07:03:39 PM

করোনা: ইরানে একদিনে আক্রান্ত ২৮৮৬ জন
 

ইরানে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আরও ২৮৮৬ জন। মৃত্যু ...বিশদ

05:40:15 PM

উত্তরপাড়ায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে লুট ১৮ লক্ষ টাকা 
উত্তরপাড়ায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে লুট হল ১৮ লক্ষ টাকা। ...বিশদ

04:29:00 PM

দুর্যোগ নিয়েও রাজনীতি করা হচ্ছে: মমতা 

04:20:00 PM