সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক, কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তরা বাড়ির মালিকরা নগদ টাকা ছাড়াও বাড়ি সারানোর জন্য ৯০টি ম্যানডেজ অর্থাৎ ১৮হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন। ১০০ দিনের প্রকল্প থেকে এই অর্থ দেবে পঞ্চায়েতগুলি। যে সমস্ত গরিব মানুষের জবকার্ড রয়েছে, তাঁরা ২০হাজার টাকায় ঘর তৈরির সামগ্রী কিনবেন এবং ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ করে নিজের বাড়ি সারিয়ে নিতে পারবেন। এতে উম-পুন বিধ্বস্ত এলাকায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি লকডাউনে কর্মহীন গ্রামীণ মানুষের হাতে নগদ টাকাও আসবে। গ্রামের অর্থনীতি খানিকটা চনমনে হবে বলে মনে করছে ব্লক প্রশাসন। তবে উম-পুন বিপর্যয়ের মধ্যেই মহিষাদল, হলদিয়া, সুতাহাটা ব্লকে শ’য়ে শ’য়ে পরিযায়ী শ্রমিকের জন্য গ্রামের স্কুলে স্কুলে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার গড়ে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করতে গিয়ে হিমসিম খেতে হচ্ছে পুলিস, প্রশাসন ও পঞ্চায়েতের লোকজনকে। ঝড়ের দু’সপ্তাহ পরেও ব্লকগুলির ৫০শতাংশ গ্রামে বিদ্যুৎ না থাকায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টার নিয়ে বিপাকে সবাই। এদিকে, সোমবার রাতে মহিষাদল ও হলদিয়া ব্লকে নতুন করে চারটি করোনা পজিটিভ কেসের জন্য কন্টেইনমেন্ট জোনে কাজ থমকে যাওয়ায় নানাধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছে।
মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তিলক চক্রবর্তী বলেন, এলাকার প্রায় চার হাজারের মতো পরিযায়ী শ্রমিক লকডাউন পর্বে বাড়ি ফিরেছেন। এরমধ্যে গত দু’সপ্তাহে প্রায় এক হাজার পরিযায়ী শ্রমিক মহারাষ্ট্র, দিল্লি সহ পাঁচটি রাজ্য থেকে ফিরেছেন। ব্লকের ১০-১২টি স্কুলে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ক্যাটারিংয়ের মাধ্যমে পরিযায়ীদের খাওয়ানো হচ্ছে। ঝড়ে বিধ্বস্ত মানুষের পাশাপাশি করোনা আর পরিযায়ী নিয়ে ব্লক ও পঞ্চয়েত প্রশাসনের একেবারে নাজেহাল অবস্থা। করোনার আতঙ্ক ও পরিযায়ীদের নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যেই তিন ব্লকে ঝড়ে বিধ্বস্তদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ক্ষতিপূরণ দিতে গিয়ে দুর্বল ইন্টারনেট পরিষেবার জন্য আর একপ্রস্ত সমস্যা তৈরি হয়েছে। তিনটি ব্লকেই দু’দফায় বাড়ির ও পান বরোজের ক্ষতিপূরণের টাকা পৌঁছে গিয়েছে। মহিষাদলের বিডিও জয়ন্ত দে বলেন, দু’দফায় ৭হাজার বাড়ির ক্ষতিপূরণের টাকা এসেছে। জেলাশাসকের নির্দেশ মতো ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়ার কাজও শুরু হয়েছে। বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেটের সমস্যা হলে পঞ্চায়েতের লোকজনকে বিডিও অফিসে বসে কাজ করতে বলা হয়েছে। বিদ্যুতের কাজের নজরদারির জন্য প্রতিটি ব্লকে প্রতিদিন সন্ধ্যায় মনিটরিং কমিটির মিটিং করতে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।
হলদিয়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুব্রত হাজরা বলেন, ব্লকের সিংহভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকায় ইন্টারনেট সংযোগে সমস্যা হচ্ছে। ব্রডব্যান্ডের সার্ভার বসে যাচ্ছে। এদিকে, পরিতোষ পাত্র নামে এক বিদ্যুৎ কর্মীকে কুমারপুর বিধানস্মৃতি পাঠাগার এলাকায় মারধরের প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল থেকে ব্রজলালচক বিদ্যুৎ অফিসে স্টেশন ম্যানেজারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান কর্মীরা। তাঁরা নিরাপত্তার দাবিতে কর্মবিরতিও পালন করেন। গ্রামে গ্রামে বিদ্যুৎ না থাকায় এদিন সিপিএমের পক্ষ থেকেও বিদ্যুৎ অফিসে বিক্ষোভ দেখানো হয়।