সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক, কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
রানিগঞ্জের বিধায়ক রুনু দত্ত বলেন, আমরা চাই কলকারখানা চলুক। কিন্তু পরিবেশ বিধি মানা হোক। মালিকপক্ষ বাড়তি মুনাফার জন্য পরিবেশ দূষণরোধী মেশিনগুলি ব্যবহার না করায় ফের দূষণ বাড়তে শুরু করেছে। আমি ইতিমধ্যেই জেলাশাসক ও মহকুমা শাসককে অভিযোগ জানিয়েছি। তবে পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি অভিযোগ করলেও কাজ হয় না।
করোনা ভাইরাসকে সঙ্গে নিয়েই মানুষ যখন দীর্ঘ লকডাউনের ধাক্কা কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে মরিয়া, সেই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে আজ ৫ জুন পালিত হবে বিশ্ব পরিবেশ দিবস। চোখে না দেখতে পাওয়া এক ভাইরাসই মানুষকে গৃহবন্দি করে দেশ ও রাজ্যের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। তবে প্রকৃতি হয়েছে বিশুদ্ধ। তাই অনেকক্ষেত্র প্রকৃতিপ্রেমীরা খুশি। আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলেও পরিবেশের আমূল পরিবর্তন এসেছিল লকডাউনে। কারখানার ধোঁয়া কালিতে ঢেকে থাকা গাছের পাতার সবুজ রং বহুদিন পর দেখতে পেয়েছিলেন শিল্পাঞ্চলবাসী। কিন্তু মানুষ যে শিক্ষা নেয়নি, তা কয়েকদিনেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে এলাকাবাসীদের কাছে। রানিগঞ্জের মঙ্গলপুর শিল্পতালুক, জামুড়িয়ায় ইকরা শিল্পতালুক সহ আসানসোল দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় কারখানা খুলতেই দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু হয়েছে। ফের বাড়ির ছাদে কালো আস্তরণ, রাস্তায় যাতায়াত দায় হয়ে উঠছে। রানিগঞ্জের কাছে বক্তারনগর এলাকায় দু’নম্বর জাতীয় সড়ক সর্বদাই কারখানার ধুলো ধোঁয়ায় ঢেকে থাকত। লকডাউনে সেই এলাকা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সেখানকার কারখানা চালু হতেই আগের পরিবেশ ধীরে ধীরে ফিরে আসছে। কয়েকদিন আগে এই শিল্পতালুকের একটি কারখানার দূষণ নিয়ে এলাকাবাসী সরব হয়েছিলেন। স্থানীয় বিধায়ক চিঠিও দিয়েছেন প্রশাসনিক আধিকারিকদের। কিন্তু এখনও কাজের কাজ কিছু হয়নি।
একই অবস্থা জামুড়িয়া এলাকাতেও। ওই এলাকার বিস্তীর্ণ গ্রামাঞ্চল ও শহরাঞ্চল অনেকদিন পর দূষণমুক্ত পরিবেশের স্বাদ পেয়েছিল। কিন্তু কারখানাগুলি দূষণ বিধি না মানার জেরে তা হারাতে বসেছে। আসানসোল পুরসভার বিরোধী দলনেতা তাপস কবি বলেন, ফের দূষণ বাড়ছে এলাকায়। প্রশাসন আগের মতোই নীরব।
তবে পরিস্থিতি এখনও হাতের বাইরে যায়নি। জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, দীর্ঘদিন কারখানা বন্ধ থাকার পর খোলার জন্য মেনটেনেন্সগত কারণে দূষণ হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। তবে যেসব কারখানা পরিবেশবিধি মানবে না তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমরা ইতিমধ্যেই টিম গঠন করে কারখানার নিরাপত্তা এবং পরিবেশবিধি কীভাবে পালন করা হচ্ছে তা দেখার জন্য আধিকারিকদের এলাকায় পাঠাচ্ছি। -ফাইল চিত্র