সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক, কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
ঝাড়গ্রাম বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক তপন পোদ্দার বলেন, বাজার খোলায় মোটামুটি ব্যবসা হচ্ছে। লোকজন বাইরে বের হচ্ছেন। মানুষের মন থেকে আতঙ্ক আস্তে আস্তে কাটছে। আশা করা যায়, যত দিন যাবে পরিস্থিত তত স্বাভাবিক হবে।
আগামী ৮ জুন অফিস খোলার পর পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে শহরবাসীর ধারণা। তবে বাসে এখনও যাত্রী সেভাবে হচ্ছে না। ঝাড়গ্রাম বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক দিলীপকুমার পাল বলেন, এদিন আটটি বাস চলেছে। বাসে তেমন যাত্রী হচ্ছে না। সরকারি অফিস খোলার পর যাত্রী সংখ্যা বাড়তে পারে। যাত্রী বাড়লে বাসের সংখ্যাও বাড়ানো হবে।
শহরে বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাট ও বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। তবে ভিন জেলার মিস্ত্রিরা না আসায় আগের থেকে কাজ কম হচ্ছে। রঘুনাথপুর শহরের এলাকার ইমারতি ব্যবসায়ী পার্থ ঘোষ বলেন, এই সপ্তাহে মোটামুটি বিক্রি হচ্ছে। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। তবে বাইরের জেলার মিস্ত্রিরা বাড়ি চলে যাওয়ায় নির্মাণক্ষেত্রে কাজ অনেকটা থমকে গিয়েছে।
এদিন বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে জেলা তৃণমূলের সভাপতি বীরবাহা সরেন টুডু বলেন, মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ধীরে ধীরে কাটছে। এই মুহূর্তে ঝাড়গ্রামে করোনা পজিটিভ রোগী নেই। সবাই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ঝাড়গ্রাম জেলা হয়ে ১৫ হাজার পরিযায়ী শ্রমিক নিজেদের রাজ্যে গিয়েছেন। জেলার পাঁচ হাজার শ্রমিক ফিরে এসেছেন। এখন পর্যন্ত ঝাড়গ্রাম জেলায় ৪৮০০ জনের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। তাঁদের সবারই রিপোর্ট নেগেটিভ। তাই আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। সকলের কাছে অনুরোধ করব, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।