সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক, কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
ঝড়ের তাণ্ডবে বহু গাছ উপড়ে পড়ায় শিল্পাঞ্চলে প্রায় তিন হাজার বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছিল। ধাপে ধাপে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়ায় এখন চেনা ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে শিল্পাঞ্চল। তবে হলদিয়া টাউনশিপের বন্দরের অ্যাঙ্করেজ ক্যাম্প এলাকার আবাসিকরা এখনও বিদ্যুৎ পাননি।
এদিকে, হলদিয়া পুর এলাকার সর্বত্র নলবাহিত পানীয়জল অর্থাৎ পুরসভার সাপ্লাই ওয়াটার এখনও স্বাভাবিক হয়নি বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল সত্যব্রত দাস বলেন, শহরের দু’একটি জায়গায় সমস্যা আছে। তবে, সিংহভাগ গ্রাহকই বিদ্যুৎ পেয়েছেন। হলদিয়ার শিল্পসংস্থাগুলি লকডাউনের পর এখনও পুরোদমে কারখানার উৎপাদন চালু না করায় গেঁওখালি জলপ্রকল্প থেকে তাদের ‘পোর্টেবল ওয়াটার’ নেওয়ার চাহিদা কম। ফলে গেঁওখালিতে সমস্ত পাম্প চালু করা হচ্ছে না। সব পাম্প চালু হলে পাইপলাইনে জলের প্রেসার ঠিক থাকে এবং শহরের সব জায়গায় সমানভাবে জল পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধা হয়। এই টেকনিক্যাল সমস্যা কাটিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে।
সুতাহাটা, মহিষাদল ও হলদিয়া ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে দ্রুত বিদ্যুৎ পৌঁছতে জোরকদমে কাজ চলছে বলে জানিয়েছে দপ্তর। বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, থানার ওসি এবং বিদ্যুৎ দপ্তরের স্টেশন ম্যানেজারকে নিয়ে তৈরি মনিটরিং কমিটি প্রতিদিন রিভিউ মিটিং করে। সেই বৈঠকে পরের দিন কাজের রুটিন তৈরি করছে। বিদ্যুৎ দপ্তরের কোন টিম কোথায় কতজন নিয়ে কীভাবে বিদ্যুতের এইচটি বা এলটি লাইনের কাজ করবে, তার নকশা থাকছে পুলিস প্রশাসন কাছে। দিনের শেষে কাজের রিপোর্ট পাঠাতে হচ্ছে রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তরে। এভাবে বিশেষ নজরদারি ও পরিকল্পনার ফলে কাজে গতি এসেছে বলে জানান ব্লক প্রশাসনের কর্তারা।
সুতাহাটা পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তাপস মাইতি বলেন, এই ব্লকের গুয়াবেড়িয়া ও হোড়খালি গ্রাম পঞ্চায়েত এখনও বিদ্যুৎহীন। বাকি ৪টি অঞ্চলে ৮০শতাংশ বিদ্যুৎ এসেছে। বিদ্যুৎ দপ্তরের চৈতন্যপুর কাস্টমার কেয়ারের অন্তর্গত ৪৯৫টি ট্রান্সফর্মারের মধ্যে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৫০টি চার্জ হয়েছে। ৭টি টিমের ৯০জন কর্মী চৈতন্যপুর থেকে হোড়খালি পর্যন্ত ১১কেভিএ হাইটেশন লাইনের কাজ করছেন। বুধবার থেকে বিদ্যুতের খুঁটি আসা শুরু হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, পাঁচ-ছ’দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। হলদিয়া ব্লকেও চকদ্বীপা, বাড়উত্তরহিংলি অঞ্চলের প্রায় সব গ্রামেই বিদ্যুৎ পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুব্রত হাজরা। দেভোগ অঞ্চলে ১১কেভিএ এইচটি লাইনের কাজ শেষ হতে তিন চারদিন সময় লাগবে। তারপর দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ পাবেন বড়বাড়ি, জামবেড়িয়া, ডিহিশিবরামনগরের মতো এলাকাগুলি।
মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তিলক চক্রবর্তী বলেন, প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছেছে। ব্লকের ৫৫০টি ট্রান্সফর্মারের মধ্যে ৪৩০টি চার্জ হওয়ায় ৫৪ হাজার গ্রাহকের মধ্যে ৩৫ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ পেয়েছেন।