কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
গত বছরের শেষের দিকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী উপাচার্য রূপে যোগ দেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। কিছুদিন পর থেকেই প্রত্যেক মাসের দ্বিতীয় ও চতুর্থ বৃহস্পতিবার বিশ্বভারতী সহ আশ্রম এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে সাফাই কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যা ধীরে ধীরে অনিয়মিত হয়ে যায়। পৌষমেলায় মাত্রাতিরিক্ত দূষণ হচ্ছে জানিয়ে পরিবেশ আদালতে মামলা করেন পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর তত্ত্বাবধানে ২০১৮ সালের পৌষমেলা পরিচালিত হলেও তাতে কোনও পরিবেশবিধি মানা হয়নি বলে অভিযোগ। তার ফলে শান্তিনিকেতনজুড়ে ব্যাপক দূষণের অভিযোগ ওঠে। সুভাষবাবু মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। এমত অবস্থায় বিশ্বভারতী প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেয় তাদের পক্ষে পৌষমেলা আয়োজন করা আর সম্ভব নয়। তারপরই ঐতিহ্যবাহী সুপ্রাচীন এই মেলার ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।
মূলত আদালতের বেঁধে দেওয়া নির্দিষ্ট পরিবেশবিধি মানতে না পারা ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভাবেই আদৌ এই বছর থেকে পৌষমেলা হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। তারই মধ্যে এদিন মেলার মাঠ সহ বিশ্বভারতী চত্বর পরিচ্ছন্ন রাখতে ও প্লাস্টিক মুক্ত করতে সাফাই অভিযানে নামে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। উপাচার্য, ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব, অন্যান্য আধিকারিক, কর্মী সহ বেশকিছু প্রাতঃভ্রমণকারী এই অভিযানে হাত লাগান।
একদিকে পরিচ্ছন্নতার অভাবেই পৌষমেলার পরিচালনার দায়িত্ব থেকে হাত গুটিয়েছে বিশ্বভারতী। অন্যদিকে প্রত্যেক মাসে দু’বার এই সাফাই অভিযান করার কথা থাকলেও তা অনিয়মিত হয়ে পড়ায় এদিন কর্মীদের উপস্থিতির হার ছিল অত্যন্ত কম। তাই কর্তৃপক্ষ নিজেদের মুখ বাঁচাতে মেলার মাঠকে প্লাস্টিক মুক্ত করার ছবি দেখিয়ে শান্তিনিকেতন এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানাতে চাইছেন। এমনটাই মনে করছেন শান্তিনিকেতনের আশ্রমিক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সকলেই।
বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বলেন, কোনও রকম পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়াই আজকের এই সাফাই অভিযান। শান্তিনিকেতনের পৌষমেলার মাঠ ক্রমশ আবর্জনায় ভরে উঠছে। তাই মাঠটিকে পরিচ্ছন্ন রাখতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।