কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
জেলার পুলিস সুপার শ্যাম সিং বলেন, ইমাদপুরের ঘটনায় দু’জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। অন্যদিকে, দুবারজপুরের খোসনগরের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার না হলেও তদন্ত শুরু হয়েছে।
লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকেই বীরভূম জেলায় রাজনৈতিক হিংসা অব্যাহত। তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ, বোমাবাজি, পার্টি অফিস দখল জেলার নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এই ঘটনাগুলির সঙ্গে নবতম সংযোজন হয়েছে তৃণমূল নেতার বাড়ি লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব। মহম্মদবাজারের পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ি লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি হয়েছিল এর আগে। পাড়ুই থানার এলাকার শাসকদলের এক যুব নেতার বাড়ি আক্রমণ করার অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির বিরুদ্ধে। এবার আক্রমণের শিকার ওই থানারই অবিনাশপুর পঞ্চায়েত এলাকার তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি রাজু মুখোপাধ্যায়। তিনি আবার পার্শ্ববর্তী বনশঙ্কা অঞ্চলের দলীয় পর্যবেক্ষকও। দুই অঞ্চলেই তৃণমূল লিড পেয়েছে। তবে লোকসভা ভোটে বিজেপির এই উত্থানের পর এই নেতারও বিজেপির দিকে পা বাড়ানোর কথা প্রচার হয়। এই পরিস্থিতিতে সোমবার রাত দু’টো নাগাদ দুষ্কৃতীরা তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়। দু’তলা বিশাল বাড়ির একতলার যে ঘরে নেতা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রাতে শুয়ে থাকেন সেই ঘর লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা বোমাবাজি করে বলে অভিযোগ। তাঁর গাড়ির গ্যারেজের দরজা লক্ষ্য করেও বোমা ছোঁড়া হয়। এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় মানুষের দাবি, এলাকাবাসী চিৎকার শুনে দুষ্কৃতীরা বোমাবাজি করতে করতে এলাকা ছাড়ে। খবর পেয়ে রাতেই পুলিস আসে। মঙ্গলবার সকালেও গ্রামে পুলিস ছিল। তা সত্ত্বেও গ্রামে যথেষ্টই আতঙ্কের পরিবেশ রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা প্রশান্ত ঘোষ বলেন, কিছুটা আতঙ্ক তো রয়েছেই। তবে গ্রামের মানুষের একতা আছে, বাইরের থেকে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব আমরা মেনে নেব না। অন্যদিকে, যে নেতার বিজেপিতে যাওয়া নিয়ে গুঞ্জন তাঁর বাড়ি কেন আক্রমণ হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যদিও রাজু মুখোপাধ্যায়ের দাবি, আমি দুই অঞ্চল থেকেই দলকে ভালো লিড দিয়েছি। সেই হিংসা থেকেই আমার নামে মিথ্যা খবর রটানো হচ্ছে। বিজেপির দুষ্কৃতীরাই আমার বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি করেছে। আমি থানায় অভিযোগ করেছি। পুলিস দু’জনকে আটক করেছে, তারা বিজেপি করে।
সিউড়ি-২ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি নুরুল ইসলাম বলেন, বিজেপির দুষ্কৃতীরা এলাকায় ভয়ের পরিবেশ ও অশান্তি সৃষ্টি করার জন্য এসব করছে। আমরা থানায় অভিযোগ করেছি, মানুষকে সংযত থাকতে বলেছি।
যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপির জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়। তিনি বলেন সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই। তবে আমাদের দুই কর্মীকে পুলিস আটক করেছে বলে শুনেছি। এখনও কিছু পুলিস পক্ষপাতিত্ব করছে, আমরা প্রয়োজনে আন্দোলনে নামব।
অন্যদিকে, সোমবার রাতে দুবরাজপুর থানার খোসনগরে তৃণমূলের মিটিং থেকে তাঁদের দলের কর্মীর ছেলেকে মারধর ও হেনস্তা করার অভিযোগ তোলে বিজেপি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়। পরে রাতে বোমাবাজি হয় বলেও অভিযোগ করেছে বিজেপি। যদিও তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে।