কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক হরিপ্রসাদ সরকার বলেন, আগের দু’টি রুটিন বাতিল করে মঙ্গলবার বিকেলে ফের নতুন করে পরীক্ষার রুটিন দেওয়া হয়েছে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখেই নতুন রুটিন দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, নতুন রুটিন নিয়ে কোনও অভিযোগ থাকবে না।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৬ জুন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করে। তাতে দেখা যায়, আগামী ১২জুলাই দুপুর ২টো থেকে ৫টা পর্যন্ত মোট তিনটি পাশ সাবজেক্টের পরীক্ষা রাখা হয়েছে। একইভাবে ১৬তারিখে ইতিহাস, সোসিওলজি, ইকনমিক্স ও এনএসএসের পরীক্ষা একই সময়ে ফেলা হয়েছে। এই রুটিন প্রকাশ্যে আসার পর ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দেয়। এরপর ১০জুন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দ্বিতীয় রুটিন প্রকাশ করে কলেজগুলিতে পাঠিয়ে দেয়। তাতে দেখা যায়, ৮জুলাই ও ১৭জুলাই বাংলা পরীক্ষা রাখা হয়েছে। ওই দু’টি দিনই বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা রাখা হয়েছে। তাহলে তৃতীয় পত্রের পরীক্ষা কবে হবে, নাকি পরীক্ষা হবে না, তানিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। এছাড়া ১২তারিখ ফিলোজফি, জুয়োলজি, এনসিসি ও পলিটিক্যাল সায়েন্স বিষয়ের পরীক্ষা ফেলা হয়েছে। কিন্তু বহু কলেজে ছাত্রছাত্রীদের পাশ সাবজেক্ট হিসেবে ফিলোজফি ও পলিটিক্যাল সায়েন্স রয়েছে। ফলে একই দিনে পরীক্ষা পড়লে যে কোনও একটি পরীক্ষা দেওয়া হবে না। এনিয়ে ক্ষোভের কথা আঁচ করে ১১তারিখ সন্ধ্যায় ফের কলেজগুলিতে নতুন রুটিন পাঠানো হয়েছে।
কাঁথি কলেজের অধ্যক্ষ অমিতকুমার দে বলেন, দ্বিতীয় রুটিনে কিছু ভুল ছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফের তৃতীয় রুটিন দেওয়া হয়েছে। ওই রুটিনে কোনও সমস্যা রয়েছে কি না, তা এখনও দেখা হয়নি। ময়না কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কালীপদ মাইতি বলেন, প্রথম রুটিন ও দ্বিতীয় রুটিনে ভুল থাকার কথা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছিল। এদিন সন্ধ্যায় ফের নতুন রুটিন দেওয়া হয়েছে। তাতে কী আছে এখনও দেখা হয়নি। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি অন্বেষা জানা বলেন, বারবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একইরকম ভুল করছে। ছাত্রছাত্রীরা চরম বিভ্রান্ত। আমরা সর্বস্তরে বিষয়টি জানিয়েছি।