সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
কবিগুরুর হাতে সৃষ্ট আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে। দেশ-বিদেশের বহু পড়ুয়া এখানে বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনা করছেন। রবীন্দ্র স্মৃতিবিজড়িত শান্তিনিকেতনে প্রতিদিন প্রায় কয়েক হাজার পর্যটক ঘুরতে আসেন। এছাড়া বোলপুর ও পার্শ্ববর্তী এলাকার বহু মানুষ শান্তিনিকেতনে প্রতিদিন যাতায়াত করেন। যেহেতু বিশ্বভারতী একটি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় তাই এখানে সকলেই অবাধে প্রবেশ করতে পারতেন। আশ্রম এলাকা ঘুরে দেখা পর্যটকদের কাছে একটা আলাদা অনুভূতি। কিন্তু বিগত বছরে বেশ কিছু ঘটনায় জড়িয়েছে শান্তিনিকেতনের আশ্রম এলাকা। আবাসিক ছাত্র-ছাত্রী, কর্মী, অধ্যাপক ছাড়াও বহিরাগতরাও অবাধে আশ্রম এলাকায় ঘোরাফেরা করতে পারতেন। গত ৪মে শান্তিনিকেতনের চীনা ভবন সংলগ্ন এলাকা থেকে বহিরাগত যুগলের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় বিশ্বভারতীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তারপরই নড়েচড়ে ওঠে বিশ্বভারতী প্রশাসন।
এদিন কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, সন্ধ্যা ৬ টার পর আশ্রম এলাকায় প্রবেশের সমস্ত পথ বন্ধ করে দেওয়া হবে। কোনও বহিরাগতকেই আশ্রম এলাকায় সন্ধ্যার পর প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। উত্তরায়ণের বিপরীতের প্রবেশপথে যাতায়াত করতে পারবেন শুধুমাত্র আবাসিক পড়ুয়া, কর্মী ও অনুমোদিত ব্যক্তিরাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও স্থানেই বিশেষত খেলার মাঠগুলিতে রাত ৮টার পর কেউ প্রবেশ বা অবস্থান করতে পারবে না। নির্ধারিত সময়সীমা অতিক্রান্ত হয়ে গেলে অনিয়মকারীর বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদিও জরুরি কারণে যাতায়াতের ক্ষেত্রে বিশ্বভারতীর নিরাপত্তা বিভাগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
যদিও এই নির্দেশিকা ঘিরে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। দূরদূরান্তের পর্যটকদের সন্ধ্যার পর আশ্রম এলাকায় প্রবেশের অধিকার চলে যাওয়ায় তাঁরা অসন্তুষ্ট। তাঁদের দাবি, সন্ধ্যায় আশ্রম এলাকার মনোরম পরিবেশ দেখতে না পেলে শান্তিনিকেতন সফর অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।
যদিও বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকার বলেন, শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্য অক্ষুন্ন রাখতে ও নিরাপত্তার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।