সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
কারখানা কর্তৃপক্ষ সাসপেনশন নোটিস দিয়ে জানিয়েছে, প্যাকেজিং বিভাগের ঠিকাকর্মীদের অসহযোগিতার জন্য তারা এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে। তাঁরা ঠিকমতো কাজ করছিলেন না। ম্যানেজমেন্টকে দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা করছিলেন না। সেকারণে কারখানা বন্ধ করা ছাড়া কোনও উপায় ছিল না। কারখানা যতদিন বন্ধ থাকবে, ততদিন কেউ পারিশ্রমিক পাবেন না। যদিও অন্য বিভাগের শ্রমিকদের দাবি, কারখানা কর্তৃপক্ষ কারও সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্যাকেজিং বিভাগের কর্মীদের জন্য বাকিদের খেসারত দিতে হবে কেন? এক কর্মী বলেন, আমরা তো কোনও দোষ করিনি। কারখানা বন্ধ হয়ে গেলে আমাদের চলবে কীভাবে? কারখানা খোলা রেখে কর্তৃপক্ষর সমস্যার সমাধান করা উচিত। প্যকেজিং বিভাগের ২৪০জন কর্মী ছাড়াও আরও ২৫০জন কর্মী রয়েছেন। তাঁদের জন্য আমরা সমস্যায় পড়ব কেন?
কারখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে ওই কারখানায় প্যাকেজিং বিভাগের ঠিকা কর্মীদের সঙ্গে কর্তৃপক্ষের টানাপোড়েন চলছিল। তা চরম পর্যায়ে পৌঁছতেই এই অবস্থা তৈরি হয়। প্যাকেজিং বিভাগের কর্মীরা অবশ্য অসহযোগিতার অভিযোগ মানতে চাননি। তাঁরা নির্দিষ্ট সময়ে বেতন দেওয়া সহ আরও কয়েকটি দাবিতে আন্দোলন করছিলেন। সেই কারণেই কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নেয় বলে তাঁদের দাবি। আইএনটিটিইউসি নেতা মুনমুন মুখোপাধ্যায় বলেন, কারখানা কর্তৃপক্ষর সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সমস্যা সমাধান করা হবে। শ্রম দপ্তরের আধিকারিক তীর্থঙ্কর সেনগুপ্ত বলেন, কী হয়েছে তা খোঁজ নিয়ে দেখছি।