সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তেজনার সূত্রপাত হয় বুধবার রাতে। গোয়ালজান এলাকায় একটি বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানে ‘জয় শ্রীরাম’ আওয়াজ তোলায় দু’জনকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ তোলে বিজেপি। অভিযুক্ত দু’জন গোয়ালজান রিফিউজি ফেরিঘাটের কর্মী। পাশাপাশি তারা তৃণমূল সমর্থক বলেও এলাকায় পরিচিত। ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার সকালে ওই দুই অভিযুক্ত রিফিউজি ফেরিঘাটে কাজে যোগ দিলে তাদের স্থানীয় মানুষ ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। সেই সময় পুলিস এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। দুই অভিযুক্ত সেখান থেকে পালিয়ে যায়। ওইদিনই বিকেলে ফের তারা ফেরিঘাটে এলে তাদের উপর বিজেপি সমর্থকরা চড়াও হয়ে মারধর করে বলে অভিযোগ। এরপরই রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ দু’পক্ষের সংঘর্ষে গোয়ালজান এলাকা অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে।
বিজেপির অভিযোগ, জয় শ্রীরাম বলায় দু’জনকে মারধর করা হয়েছিল। আমরা দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু বহরমপুর থানার পুলিস শাসকদলকে মদত দিয়ে দুষ্কৃতীদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করে। রাতে তারাই দলবল নিয়ে এলাকায় বোমা, গুলি চালিয়ে তাণ্ডব চালায়। যদিও তৃণমূলের অভিযোগ, অন্যায়ভাবে ফেরিঘাটের দু’জন কর্মীকে মারধর করে এলাকার বিজেপি সমর্থকরা। জয় শ্রীরামের দোহাই দিয়ে তারাই এলাকায় সন্ত্রাস ছড়ানোর চেষ্টা করে।
বিজেপির জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর ঘোষ বলেন, বৃহস্পতিবারের ঘটনার পর এলাকার মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন। আমরা লিখিত অভিযোগ জানিয়ে এলাকায় পুলিস পিকেটের দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু, পুলিস আগাম কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় রাতে তৃণমূলআশ্রিত দুষ্কৃতীরা এলাকায় বোমা, গুলি সহ অবাধে সন্ত্রাস চালিয়েছে। এলাকার মানুষ আতঙ্কে বাড়ি ছাড়া হয়ে রয়েছে।
যদিও জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র অশোক দাস বলেন, তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলে বাজার গরম করার চেষ্টা চলছে। প্রচারের আলোয় আসার জন্য বিজেপি এই মিথ্যা অভিযোগ তুলছে।