গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ পাওয়ার সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
বহরমপুর শহরের পাশেই অবস্থিত বেলডাঙা শহর। এই শহরের একদিকে রেললাইন, আর একদিকে ৩৪নম্বর জাতীয় সড়ক। এখান থেকে রেজিনগর, শক্তিপুর, নওদা, নদীয়ার পলাশী, দেবগ্রাম প্রভৃতি এলাকার দূরত্ব খুব বেশি নয়। তাই রেল ও সড়কপথ বেষ্টিত এই শহরে প্রতিদিন ব্যবসা সহ নানা কাজে প্রচুর মানুষ আসে। এমনকী, চুলের কারবার করতে সুদূর চীন থেকে ব্যবসায়ীরা এখানে এসে রয়েছেন। গোরু ও কাপড়ের ব্যবসারও এখানে রমরমা। এখানকার জনসংখ্যা বাড়ছে। তাই সমস্ত দিক পর্যালোচনা করে এক সময়ের জঙ্গি ডেরা এই শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা চাঙ্গা করতে পুরসভা উদ্যোগী হয়েছে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগে শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে পুলিস ও প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়। সেই বৈঠকে শহরে সিসি ক্যামেরা লাগানোর পরামর্শ দেন পুলিস অফিসারদের একাংশ। সেইমতো এ ব্যাপারে শহরের ১৪টি ওয়ার্ডে সমীক্ষা চালানো হয়। এরপর শহরের ছাপাখানা মোড়, পাঁচরাহা মোড়, বিডিও অফিস মোড় সহ সমস্ত স্কুল, কলেজ ও মার্কেট কমপ্লেক্স চত্বর, রেলস্টেশন সহ বিভিন্ন এলাকায় ১৪১টি সিসি ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়। যারমধ্যে ৩৪নম্বর জাতীয় সড়কের বড়ুয়া মোড়ে দু’টি রেড লাইট ভায়োলেশন ডিটেকশন ক্যামেরা বসানো হবে। অর্থাৎ, ট্রাফিক সিগন্যাল ভেঙে বেপরোয়াভাবে চলাচলকারী বাইক, বাস, লরি সহ যানবাহন শনাক্তকরণ করবে ওই ক্যামেরাগুলি। পুর চেয়ারম্যান বলেন, পুলিস ও প্রশাসনের পাশাপাশি এ ব্যাপারে পুরসভার বোর্ড মিটিংয়েও আলোচনা করা হয়েছে। সর্বসম্মতিক্রমেই শহরে ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কয়েক বছর আগে পূর্ব বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠন জুমের ডেরায় বিস্ফোরণ ঘটে। সেই ঘটনার পর বেলডাঙাতেও জুম জঙ্গি সংগঠনের ডেরার হদিশ মেলে। ওই সময়ই শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা চাঙ্গা করার দাবি ওঠে। এরপর চীনা মাদক কারবারিরা বেলডাঙায় জাল বিস্তারের চেষ্টা করছে বলে খবর মেলে। কাজেই, এই শহরকে সিসি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলার পরিকল্পনা যথেষ্ট যুক্তিযুক্ত বলেই পুরকর্তারা মনে করছেন। নাগরিকদের একাংশেরও অভিমত একই। সকলেই বলেন, সিসি ক্যামেরা বসানোর পর শহরে চুরি, ছিনতাইয়ের পাশাপাশি বেআইনি কার্যকলাপ, মাদক কারবার রোধ করা সহজ হবে। শহরের উপর দিয়ে চলে যাওয়া জাতীয় সড়কে যানবাহনের লাগামহীন দৌরাত্ম্যও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।
পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, ১৪১টি সিসি ক্যামেরা বসানোর জন্য মাসখানেক আগে ১কোটি ৬০লক্ষ টাকার প্রকল্প রাজ্য পুর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। চেয়ারম্যান বলেন, ওই প্রকল্প শীঘ্রই অনুমোদিত হবে বলে আশা করছি। পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার পর পুলিসের সহযোগিতায় নিয়মিত ক্যামেরাগুলির মনিটরে নজর রাখা হবে। এজন্য পুরসভায় একটি রুমও তৈরি করা হতে পারে।