সংবাদদাতা, ময়নাগুড়ি: আমগুড়ির অ্যাথলিট কণিকা রায়ের পাশে দাঁড়ালো জেলা পুলিস। বর্তমানে খবর প্রকাশের পরই শনিবার পুলিস সুপারের নির্দেশে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে গেলেন ময়নাগুড়ি থানার আইসি। আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই অত্যাধুনিক ধনুকের ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। এতে দুশ্চিন্তা দূর হল কণিকার। ময়নাগুড়ির আমগুড়ির অ্যাথলিট কণিকা আর্চারি টুর্নামেন্টের রিকার্ভ কম্পাউন্ড লেভেলে খেলতে চান। এরজন্য অত্যাধুনিক ধনুকের প্রয়োজন। যার দাম প্রায় আড়াই থেকে তিনলক্ষ টাকা। টোটো চালক বাবা কর্ণদেব রায়ের পক্ষে তা কিনে দেওয়া সম্ভব নয়। শনিবার এই বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় বর্তমানে। তারপর সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন অনেকেই। গ্রামের বেশ কিছু মানুষ, কণিকার শিক্ষক এবং শুভাকাঙ্খীরা সহযোগিতা করছেন। তবে তাতে যা টাকা উঠেছে তা দিয়ে ধনুক কেনা সম্ভব নয়। তা নিয়ে চিন্তায় ছিলেন কণিকা। মেয়ের প্রতিভা অর্থের অভাবে হারিয়ে যাবে, সেই চিন্তায় চিন্তিত কর্ণদেব বাবুও। শনিবার আইসি-র আশ্বাসে মুখে হাসি ফুটেছে তাদের পরিবারে। জলপাইগুড়ি পুলিস সুপারের নির্দেশে আইসি সুবল ঘোষ কণিকার বাড়ি এসে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। আইসি বলেন, কণিকার কেমন ধনুক প্রয়োজন সেটা দেখলাম। আমার পরিচিত একজনের সঙ্গে ধনুকের বিষয়ে কথা বললাম। কণিকা জানিয়েছেন, কিছু সাহায্য উঠছে। আমরাও তাঁকে সহযোগিতা করব। চলতি মাসেই ধনুক তাঁর হাতে চলে আসবে। আমরা সকলে মিলে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেব।
কণিকা বলেন, ময়নাগুড়ি থানার আইসি বাড়ি এসেছিলেন। ধনুক কিনে দেবার আশ্বাস দিয়েছেন। এই ধনুক না পেলে রিকার্ভ কম্পাউন্ড লেভেলে খেলতে পারবো না। আমাদের পক্ষেও এই ধনুক কেনা সম্ভব নয়। আমি বহুদূর পর্যন্ত খেলতে চাই।