অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
সেই লক্ষ্যেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় গজলডোবার তিস্তার বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। এদিকে ২০-২৫ দিনের মধ্যে তিস্তার ওই বাঁধের কাজ শেষ না হলে শিলিগুড়ি পুরসভা এলাকায় প্রবল পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দেবে। এমনকী পানীয় জল সঙ্কটে পরিস্থিতি পুরসভার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন পিএইচই ও পুরসভা।
এদিকে, সেচদপ্তর ও তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যেই ওই বাঁধের কাজ শেষ করতে চাইছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সংস্থা। ঠিকাদার সংস্থার ইঞ্জিনিয়ার শুভ্রজিৎ ঘোষ বলেন, আমাদের কাছে প্রতিটা মুহূর্ত একটা দিনের সমান। দিনরাত কাজ করা হচ্ছে। আমাদের হাতে সময় বেশি নেই। তাই এই কাজ আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জের।
গত বছর সিকিম বিপর্যয়ের জেরে গজলডোবায় তিস্তা বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আসন্ন বর্ষার আগেই সেই বাঁধের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু, সেই বাঁধের কাজ শুরু করতে গিয়ে শিলিগুড়ি পুরসভায় পানীয় জলের সঙ্কটের বিষয়টি সামনে চলে আসে। তাই সেই কাজ করার জন্য সাড়ে তিনমাসের সময়সীমা থাকলেও, পানীয় জলের সমস্যা সামনে চলে আসায় কাজের মেয়াদ কমিয়ে আনা হয়।
বাঁধের কাজের জন্য শুক্রবার থেকেই তিস্তার জল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে পানীয় জল সঙ্কটের মুখে শিলিগুড়িবাসী। সেই পরিস্থিতি থেকে শিলিগুড়িবাসীকে নিস্তার দিতে পুরসভার অনুরোধে সেই কাজের সময়সীমায় কাটছাঁট করা হয়েছে।
শনিবার সকালে সেই বাঁধের কাজ খতিয়ে দেখতে গজলডোবা তিস্তা বাঁধের পরিদর্শনে যান শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। এদিন তিনি বাঁধ পরিদর্শনে গিয়ে সেচদপ্তরের কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং বাঁধের কাজ দ্রুত শেষ করার আবেদন জানান।
মেয়র গৌতম দেব বলেন, যত দ্রুত বাঁধের কাজ শেষ হবে পানীয় জলের সমস্যাও তত তাড়াতাড়ি মিটে যাবে।