প্রশাসনিক রাজকর্মচারীদের কর্ম ব্যস্ততা বৃদ্ধি। দুপুর থেকে চিন্তার অবসান ও বাধামুক্তি। ... বিশদ
ধূপগুড়ির ডাউকিমারির কোয়েলের প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৩। বাংলায় ৯৫, ইংরেজিতে ৯৮, এডুকেশনে ৯৭, ভূগোলে ৯৯ এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানে তিনি ৯৪ পেয়েছেন। ভবিষ্যতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে পড়তে চান এই কৃতী। তবে আর্থিক প্রতিবন্ধকতা এড়িয়ে ইচ্ছেপূরণ হবে কি না, তা নিয়ে কোয়েলের মনে সংশয়।
চিন্তিত বাবা রনজিৎ রায়ও। তিনি বলেন, সামান্য জমিতে কাজ করে সংসার চলে। মাঝেমধ্যে দিনমজুরির কাজেও ছুটতে হয়।
কোয়েলের কথায়, পড়াশোনার জন্য স্কুলের শিক্ষকরা সহযোগিতা করেছেন। ভবিষ্যতে সিভিলসার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে প্রশাসনিক পদে কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে।
তবে কোয়েলের উচ্চশিক্ষার জন্যও স্কুলের শিক্ষকরা সাহায্য করতে চান বলে ধূপগুড়ির ডাউকিমারি ডিএন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক কিশোর রায় জানান। তিনি বলেন, জেলার সেরার তালিকায় স্কুলের দু’জন থাকায় আমরা আনন্দিত।
রণজিৎবাবুর দুই মেয়ের মধ্যে কোয়েল বড়। আরএক মেয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। তবে আর্থিক কষ্ট নিয়েও মেয়ের পড়াশোনা চালিয়ে নিয়ে যেতে চান রণজিত্ বাবু। তিনি বলেন, কোনওরকমে টেনেটুনে সংসার চলে। কেউ সাহায্য করলে ভালো হয়। কোয়েলের মা রেখা রায়ের কাঁধে সাংসার সামলানোর দায়িত্ব। তিনি বলেন, মেয়ের সাফল্যে আমরা আনন্দিত। এই সাফল্যে ভর করে ও যেন সকলের পাশে দাঁড়াতে পারে, সেটাই চাই। নিজস্ব চিত্র