কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। উকিল, মৃৎশিল্পীদের শুভ। সংক্রমণ থেকে শারীরিক অসুস্থতা হতে পারে। আর্থিক ... বিশদ
পুজোর বোনাস প্রদানের পন্থা নিয়ে দার্জিলিং পাহাড়ের চা শ্রমিক ও বাগানের মালিকদের মধ্যে কয়েকদিন ধরেই মতবিরোধ চলছে। এ ব্যাপারে শ্রমদপ্তর উভয় পক্ষের সঙ্গে কয়েকবার বৈঠক করেছে। এদিন শিলিগুড়িতে শ্রমিক ভবনে ফের উভয়পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করে শ্রম দপ্তর। এই বৈঠকও কার্যত নিষ্ফলা হয়েছে। শ্রমদপ্তর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন বছর ধরে দু’টি কিস্তিতে পুজোর বোনাস নিচ্ছেন পাহাড়ের চা শ্রমিকরা। কিন্তু, এবার তারা এই পন্থায় রাজি হচ্ছেন না। তাঁরা একলপ্তে বোনাস প্রদানের দাবি তুলেছেন। বৈঠকের পর বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা জানান, বোনাসের হার নিয়ে আপত্তি নেই। কিন্তু, বাগানের মালিকারা ডুয়ার্সে শ্রমিকদের একলপ্তে বোনাস প্রদান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ইতিমধ্যে কিছু বাগানে এই পন্থায় বোনাস প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অথচ, দার্জিলিং পাহাড়ের ক্ষেত্রে বাগানের মালিকরা তা কার্যকর করতে চাইছে না। মালিকপক্ষ দু’টি কিস্তিতে বোনাস দিতে চাইছে। প্রথম কিস্তি অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে, দ্বিতীয় কিস্তি ডিসেম্বরে প্রদান করতে চাইছে। এটা মানা যায় না। বঙ্গীয় চা মজদুর সংঘের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ গুহ বলেন, মালিক পক্ষের এমন দু’মুখো নীতি মানা যায় না। এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামব।বৈঠকে চা বাগানের মালিক পক্ষ জানিয়েছে, কোভিডের জেরে ব্যবসা কিছুটা বিপর্যস্ত। বিদেশে চা রপ্তানির পরিমাণ কমেছে। তাই শ্রমিকদেরকে দু’টি কিস্তিতে বোনাস দিতে চাইছি। শ্রম দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’পক্ষের এমন বক্তব্য শোনার পর বোনাসের প্রথম কিস্তি ৪অক্টোবর এবং দ্বিতীয় কিস্তি ৩০ অক্টোবরের মধ্যে প্রদান করার প্রস্তাব মালিক পক্ষকে দেওয়া হয়। কিন্তু তারা রাজি হয়নি।