কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। উকিল, মৃৎশিল্পীদের শুভ। সংক্রমণ থেকে শারীরিক অসুস্থতা হতে পারে। আর্থিক ... বিশদ
এক্রামুল হককে পদ থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন খোদ চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমান। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁর কাজকর্মে দল সন্তুষ্ট নয়। তাতে দলের ভাবমুর্তি নষ্ট হচ্ছে। তাই সমস্ত পদ থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হল। এই প্রসঙ্গে হামিদুল সাহেব বলেন, মাঝিয়ালি অঞ্চল কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছিল এক্রামুলকে। কিন্তু তিনি পঞ্চায়েতে পরিচালনার ক্ষেত্রে অনেক ঝামেলা করছেন। সেজন্য তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, মাঝিয়ালি পঞ্চায়েতটি তৃণমূলের দখলে রয়েছে। এখানে বিরোধী বলে কিছু নেই। পঞ্চায়েতের বিভিন্ন প্রকল্প প্রত্যেক সদস্যের এলাকায় প্রয়োজন অনুসারে করা হয়। কিন্তু একাংশ সদস্য প্রতিক্ষেত্রেই বেশি করে সুবিধা চান। শক্তি থাকলে নিয়েও নেন। সম্প্রতি ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে কিছু গাছের চারা এসেছিল। সেগুলি সদস্যদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়। যাতে নিজ নিজ এলাকায় উপভোক্তাদের মধ্যে বিলি করতে পারেন। সম্প্রতি পঞ্চায়েতে সদস্যদের নিয়ে একটি মিটিং হয়। সেখানে চারা বিতরণ সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়। সেসময় পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী তথা প্রতিনিধি হেমেদুল রহমানের সঙ্গে পঞ্চায়েত সদস্য কায়ুম সাহেবর বচসা ও পরে হাতাহাতি হয় বলে অভিযোগ। বাইরে একথা জানাজনি হতেই সমালোচনা হয়। পঞ্চায়েত সদস্যদের মধ্যেও তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠী আছে বলে স্থানীয় রাজনৈতিক মহল সূত্রে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, চোপড়া অঞ্চল কমিটির কয়েকজন সদস্য ভোটের সময় বিজেপিতে চলে গিয়েছেন। তাঁরা আবার দলে ফিরতে চাইছেন। এবিষয়ে তৃণমূলের চোপড়া ব্লক সভাপতি প্রীতিরঞ্জন ঘোষ বলেন, তাঁরা দলের বিভিন্ন পদে ছিলেন। ভোটের সময় বিজেপিতে চলে যান। কোনও পদত্যাগপত্র না দিয়েই। তাই তখন তাঁদের পদ থেকে সরানো হয়নি। এবার তাঁদের ছয় বছরের জন্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ তাঁদের দলে ফেরান হচ্ছে না।