কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। উকিল, মৃৎশিল্পীদের শুভ। সংক্রমণ থেকে শারীরিক অসুস্থতা হতে পারে। আর্থিক ... বিশদ
এবিষয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ভাইরাল ফিভার ক্ষতিকারক কোনও জ্বর নয়। তবে কোন বয়ঃসীমার মানুষের হচ্ছে সেটা দেখার বিষয় রয়েছে। এনিয়ে ভয়ের কিছু নেই। সাধারণ জ্বরের মতো চিকিৎসা করালে রোগী সুস্থ হয়ে যাবেন। এবিষয়ে পুরাতন মালদহ পুরসভার স্বাস্থ্য বিষয়ক আধিকারিক সাধন দাস বলেন, এই মরশুমে সাধারণত ভাইরাল ফিভার দেখা দেয়। শহরে এরকম কিছু কেস আমরা পেয়েছি। এনিয়ে আমরা সতর্ক রয়েছি। তবে ভাইরাল ফিভার মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ থেকে জ্বরের তথ্য সংগ্রহ যাবতীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে। উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে অনেকে জ্বর সহ অন্যান্য শারীরিক সমস্যা নিয়ে চিকিত্সা করাতে আসছেন। পুরাতন মালদহ পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের অন্যতম সদস্য তথা পুরসভার স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিটির ইনচার্জ পরিতোষ ঘোষ বলেন, পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কাজ করছেন। ভাইরাল ফিভার সেই অর্থে নেই।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের ১ থেকে ২০ নম্বর ওয়ার্ডে ভাইরাল ফিভারের উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে সবমিলিয়ে ৫০ জনের বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে মহিলা ও বেশ কয়েকজন শিশুও রয়েছে। তবে আক্রান্তদের মধ্যে অনেকেই সুস্থ হওয়ার পথে বলে পুরসভার স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানিয়েছেন। শহরে ভাইরাল ফিভার দেখা দেওয়ায় পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রোগীদের ভিড় বাড়ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় মেডিক্যাল অফিসার দিয়ে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও ওয়ার্ড ভিত্তিক ছোট ছোট ক্যাম্প করে স্বাস্থ্যকর্মীরা জ্বর সংক্রান্ত খোঁজখবর নিচ্ছেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, এই ভাইরাল ফিভার মূলত আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সক্রিয় থাকে। এই সময়টা মূলত আবহাওয়া পরিবর্তন হওয়ায় এধরনের জ্বর দেখা দেয়।