কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। উকিল, মৃৎশিল্পীদের শুভ। সংক্রমণ থেকে শারীরিক অসুস্থতা হতে পারে। আর্থিক ... বিশদ
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক ভোলা মণ্ডল জানিয়েছেন, প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গণ গড়ে সাইকে দিয়ে রাখার কোনও যৌক্তিকতাই নেই। খেলাধুলোর মানোন্নয়নে সাই বছরের পর বছর সময় পেলেও কিছুই করেনি। উল্টো কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি সুইমিংপুল, ইন্ডোর সহ ক্রীড়াঙ্গণের একাধিক জায়গা নষ্ট হয়ে যেতে বসেছে। কলকাতার পর এ ধরনের একটা উন্নত ক্রীড়াঙ্গণকে এখন খেলোয়াড়দের খেলাধুলোর জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া উচিত। কারণ একছাদের তলায় তিরন্দাজি সহ নানা ধরনের খেলার উন্নত ক্ষেত্র তৈরি থাকার পরেও কেউ সেখানে খেলাধুলো করতে পারছে না। অ্যাথলিট স্বপ্না বর্মন, হেমশ্রী রায়, ভৈরবী রায় ব্যক্তিগত যোগ্যতায় উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়ে গিয়েছেন। সেখানে সাইয়ের মতো সংস্থার কোনও কৃতিত্ব নেই। শিলিগুড়ি থেকে যখন জলপাইগুড়ির এই ক্রীড়াঙ্গণে সাই এল, জলপাইগুড়িবাসী তখন স্বপ্ন দেখেছিল তাঁদের ছেলেমেয়েরা হয়তো সাইয়ের হাত ধরে খেলার জগতে কৃতিত্ব পাবে। তখন ক্রীড়াপ্রেমীরা উৎসাহিত হয়েছিলেন। কিন্তু, হলো উল্টোটাই। খেলাধুলোর মান বাড়াতে কোনও কাজই করেনি কেন্দ্রের ওই সংস্থা। উল্লেখ্য, সোমবার রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ক্ষোভ প্রকাশ করে স্পষ্টভাবেই জানিয়েছেন তিনমাসের মধ্যে সাই নিজের কার্যকলাপ শুরু না করলে ওদের থেকে ক্রীড়াঙ্গণটি ফিরিয়ে নেওয়া হবে। ওই সংক্রান্ত মউ বাতিল করা হবে। এ ব্যাপারে তিনি একটি চিঠিও দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়া ও যুবকল্যাণমন্ত্রী অনুরাগ সিং ঠাকুরকে।
গত লোকসভা ভোটে বিজেপি উত্তরবঙ্গে ব্যাপক উন্নয়নের স্বপ্ন দেখিয়েছিল। কিন্তু, ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য ওই স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গিয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী মহুয়া গোপ বলেন, বিজেপি কোনও কাজই এখানে করেনি। ভোটের সময় শুধু মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করেছে। ওই ক্রীড়াঙ্গণের নামকরণ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করে দিয়েছিলেন। তিনি সবসময় উত্তরবঙ্গের জন্য দু’হাত ভরে কাজ করার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। সেই চিন্তা থেকেই সাইকে ক্রীড়াঙ্গণ ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়েছিল।
জেলা কংগ্রেসের সভাপতি পিনাকী সেনগুপ্ত বলেন, রাজ্য সরকার একটা ইতিবাচক চিন্তা নিয়ে সাইয়ের হাতে বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গণ তুলে দিলেও আমাদের দুর্ভাগ্য সাইয়ের মতো একটা সংস্থা জেলার খেলাধুলোর মানোন্নন করতে পারল না। জলপাইগুড়ি রেফারি অ্যাসোসিয়েশনের সচিব অনিত মুন্সি বলেন, এই ক্রীড়াঙ্গণ নিয়ে সাইয়ের তরফে কোনও আন্তরিকতা নেই। তাঁর আরও একটা আক্ষেপ, জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে পর্যন্ত বিশ্ববাংলা ক্রীড়াঙ্গণে জায়গা দেওয়া হয়নি। অথচ ওই মাঠ থেকেই জাতীয় স্তরের হাইজাম্পার হরিশঙ্কর রায়ের মতো বেশ কয়েকজন অ্যাথলিটের উত্থান হয়েছে।