কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। উকিল, মৃৎশিল্পীদের শুভ। সংক্রমণ থেকে শারীরিক অসুস্থতা হতে পারে। আর্থিক ... বিশদ
সাহা বাড়ির পুজোর রীতি অন্যান্য পুজোর চেয়ে একেবারেই আলাদা। সাধারণত দুর্গার ডান পাশে সরস্বতী ও কার্তিক ও বাম পাশে লক্ষ্মী ও গণেশ থাকে। কিন্তু এই বাড়ির দুর্গার মূর্তি একদম আলাদা। দুর্গার ডানদিকে লক্ষ্মী ও কার্তিক এবং বাম দিকে সরস্বতী ও গণেশ থাকে। বনমালী সাহা রায় বাংলাদেশে প্রথম এই পুজা শুরু করেন। তাঁর নাতি কালীকৃষ্ণ সাহা রায় বর্তমানে সেই পুজো করে আসছেন। এবিষয়ে তিনি বলেন, এবছর আমাদের বাড়ির পুজো ১৮১ বছরে পদার্পণ করছে। আমাদের পুজোর রীতি একটু আলাদা। এবছরও মায়ের মূর্তির ভার কমাতে মাটির শাড়ির পরিবর্তে বেনারসি শাড়ি পরানো হবে।
প্রতিমা শিল্পী হিমাংশু মহন্ত বলেন, আমার বাবা দীর্ঘদিন ধরেই এই সাহা বাড়ির প্রতিমা গড়ে আসছেন। এখন বাবার বয়স হয়েছে। তাই কয়েক বছর ধরে এই বাড়িতেই প্রতিমা বানাচ্ছি। এই বাড়ির মূর্তি বিশেষত্ব রয়েছে। সব কিছু থেকেই আলাদা। গত বছর থেকে মাটির শাড়ি বানাচ্ছি না। কারণ ওজন বেড়ে যায়।
সাহা পরিবার জানিয়েছে, করোনার সংক্রমণের জেরে দর্শনার্থীদের জন্য থাকছে একাধিক নিয়ম। নিয়মে কাটছাঁট থাকলেও পুজোর রীতিনীতির কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না। এছাড়াও অঞ্জলি দেওয়ার জন্য বাইরে থেকে কেউ অঞ্জলির ফুল নিয়ে আসতে পারবে না। ফুল ছাড়াই অঞ্জলি দেওয়া হবে।
বনেদি বাড়ির পুজোর মধ্যে বালুরঘাটের বিশ্বাসপাড়া এলাকার সাহা বাড়ির পুজো অন্যতম। ১৮৪০ সালে বাংলাদেশের পাবনা জেলায় জামিত্রা গ্রামে প্রথম এই পুজো শুরু করেন জমিদার পরিবারের বনমালী সাহা রায়। এরপর তিনি আত্রেয়ী নদীতে নৌকো করে বালুরঘাটে লবণের ব্যবসা করতে এসেছিলেন। এখানেই পরবর্তীতে ধান চালের ব্যবসা শুরু করেন। ইংরেজদের কাছ থেকে তিনি রায় উপাধি পেয়েছিলেন। এরপর এখানেই পুজো শুরু করেন। কথিত রয়েছে, প্রতিমা শিল্পী খড়ের মূর্তি বানিয়ে বাড়ি চলে গেছিলেন। পরের দিন এসে দেখেন কার্তিক, গণেশের জায়গা পরিবর্তন হয়েছে। নিজের ভুল ভেবে ফের কার্তিক ও গণেশের জায়গা পরিবর্তন করে দেন। কিন্তু পরের দিন সকালে ফের দুর্গার ডানদিকে লক্ষ্মী ও কার্তিক এবং বাম দিকে সরস্বতী ও গণেশ রয়েছেন। এরপর এনিয়ে স্বপ্নাদেশ পেলে সেই থেকেই একইভাবে ওই বাড়িতে পুজো হয়ে আসছে।