কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। উকিল, মৃৎশিল্পীদের শুভ। সংক্রমণ থেকে শারীরিক অসুস্থতা হতে পারে। আর্থিক ... বিশদ
নিশারানি রায় বলেন, ছোটছোট কাপড়ের টুকরো দিয়ে পুতুল বানাই। সেই পুতুল নিয়ে বিভিন্ন সরকারি মেলায় গিয়ে বিক্রি করি। আগেও কয়েকবার দুর্গা বানিয়েছি। সেগুলি বাড়িতেই আছে। এবারের বানানো দুর্গাটি কেনার জন্য একজন আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। চলতি মাসেই এটি ক্যুরিয়ার করে বেহালায় পাঠাব।
নিশারানিদেবীর বয়স এখন ৫৮ বছর। তাঁর স্বামী উপেন্দ্রনাথ রায় বিদ্যুৎ দপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। তাঁদের দুই মেয়ে, এক ছেলে। বড় মেয়ে যখন ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ত সেই সময় তাকে কাপড় দিয়ে পুতুল বানিয়ে দিয়েছিলেন। সেই থেকেই নিশারানিদেবীর পুতুল বানানোর যাত্রা শুরু। এরপর সংসারের কাজ সামলে অবসর সময়ে কাপড় দিয়ে পুতুল বানাতেন। দর্জির দোকান থেকে বস্তা ভরে ফেলে দেওয়া টুকরো কাপড় নিয়ে এসে পুতুল বানান তিনি।
রাসমেলা থেকে সরকারি হস্তশিল্প মেলায় তিনি এখন অংশ নেন। লোক সংস্কৃতি, সরকারি প্রকল্পের মডেল, আদিবাসী রমণীর নৃত্যের ভঙ্গিমায় তৈরি পুতুল তিনি তৈরি করেন। ২০০ টাকা থেকে একহাজার টাকা পর্যন্ত দামের পুতুল তাঁর কাছে আছে। তাঁর তৈরি পুতুল জেলা ও রাজ্যের বাইরেও যায় বলে নিশারানিদেবী জানিয়েছেন। এবার এক ফুট কাপড়ে দুর্গা তিনি তৈরি করেছেন। একচালার মধ্যে দুর্গা সহ গণেশ, কার্তিক, লক্ষ্মী, সরস্বতী রয়েছে। কাপড় দিয়ে তৈরি করার পর প্রতিমার শরীরে বিভিন্ন রকম গয়না, মালা পরানো হয়েছে। যা সকলেরই দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। নিজস্ব চিত্র