কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। উকিল, মৃৎশিল্পীদের শুভ। সংক্রমণ থেকে শারীরিক অসুস্থতা হতে পারে। আর্থিক ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ও জখমরা সম্পর্কে নিজের ভাই-বোন। রায়গঞ্জ পুলিস জেলার সুপার মহম্মদ সানা আখতার বলেন, এ ঘটনায় জয়শ্রী দাস নামে এক মহিলাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতে তুলে বিচারকের নির্দেশে ১৪ দিনের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অন্যান্য অভিযুক্তের খোঁজে পুলিস তল্লাশি শুরু করেছে। মূল অভিযুক্ত সহ অন্যান্যরা পলাতক। তার বাড়িটি সিল করে দেয় পুলিস। পাশাপাশি ওই জায়গায় পুলিস পিকেট বসানো হয়েছে। পুরনো শত্রুতার জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিসের অনুমান। প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে, কয়েক মাস আগে সুজয়বাবুদের বাড়ির একটা অংশ ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভাড়াটিয়াদের কার্যকলাপ নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় তাদেরকে তুলে দেওয়া হয়। এনিয়ে বিবাদের জেরেই এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তদন্তে নেমে এক মহিলাকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। এছাড়া স্থানীয় কাশীবাটি এলাকায় মূল অভিযুক্ত এক বিএসএফ কনস্টেবল শীতল রায় ওরফে পাপনের বাড়ি সিল করে দেয় পুলিস।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ দেবীনগরের সুকান্ত মোড় এলাকার ওই বাড়িতে বাইকে করে কয়েকজন দুষ্কৃতী এসে ভিতরে ঢুকে বচসা শুরু করে। দুষ্কৃতীদের দলে মহিলারাও ছিল। বচসার এক পর্যায়ে তারা পাঁচ রাউন্ড গুলি চালায়। এতে গুরুতর জখম হন সুজয়বাবু ও তাঁর দুই বোন। গুলির শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে দুষ্কৃতীরা চম্পট দেয়। এরপর স্থানীয়রা জখমদের টোটো করে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা দেবী সান্যালকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিসকর্তারা। অতিরিক্ত পুলিস সুপার বলেন, কেন এই ঘটনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সুজয়বাবু শিলিগুড়িতে ডাবগ্রাম থানায় কর্মরত। তাঁর বোন রূপা অধিকারী বিবাহ সূত্রে মালদহে থাকেন। অন্যদিকে, মৃত দেবী সান্যাল রায়গঞ্জ শহরেরই বাসিন্দা। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সুজয়বাবুর বাবা অবসরপ্রাপ্ত ডিএসপি নিখিল কৃষ্ণ মজুমদার দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। তাঁকে দেখতেই তিন ভাই-বোন বাড়িতে এসেছিলেন।
বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রাতে সুজয়বাবুদের বাড়িতে আসে তাদের এক সময়ের ভাড়াটিয়া পেশায় বিএসএফ কনস্টেবল শীতল রায়। তিনি কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে এসে গণ্ডগোল শুরু করে দেয়। সেসময়ই তারা গুলি চালায়। এ ঘটনার কারণ সম্পর্কে পুলিস এখনও পরিষ্কার করে কিছু বলতে পারেনি। ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। স্থানীয় কাউন্সিলার অভিজিৎ সাহা বলেন, অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। আমরা চাই, এ ঘটনায় অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করুক পুলিস। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শীতল পরিবার নিয়ে প্রাক্তন ডিএসপি’র বাড়িতে ভাড়াটে হিসেবে এসেছিল। কিন্তু তার কার্যকলাপ অবসরপ্রাপ্ত পুলিস অফিসারের ভালো লাগেনি। কিছুদিন আগে তাকে বাড়ি থেকে তুলে দেন। এনিয়ে শীতলের সঙ্গে সুজয়বাবুদের বিবাদ অনেক দূর গড়িয়েছিল। তার জেরেই এই ঘটনা বলে বাসিন্দারা মনে করছেন।