কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। উকিল, মৃৎশিল্পীদের শুভ। সংক্রমণ থেকে শারীরিক অসুস্থতা হতে পারে। আর্থিক ... বিশদ
করোনা পর্বের অন্যতম যোদ্ধা হলেন চিকিৎসকরা। তাঁরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আক্রান্তদের প্রাণ বাঁচিয়েছেন। করোনার বিরুদ্ধে এখনও পযর্ন্ত লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তাই অভিযাত্রী সঙ্ঘের ৬১তম বর্ষের পুজোয় উদ্যোক্তারা এই থিমকে বেছে নিয়েছেন। এখানেই শেষ নয়, পুজোর সময় দর্শনার্থীরা সঙ্ঘের মণ্ডপে ঢুঁ মারলেই করোনা পর্বের বহু দৃশ্য তাঁদের স্মৃতিতে চলে আসবে। দেশে লকডাউন, সব শুনশান, মানুষের মুখে বাধ্যতামূলক মাস্ক, সব বিষয় শিল্পকর্মের মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। লকডাউনের সময় বোঝাতে মণ্ডপের মাঝখানে বড় তালা, চাবি রাখার ব্যবস্থা করা হবে।
পাশাপাশি জেলার অন্যতম সর্বজয়ী ক্লাব আলোকসজ্জায় এবার সকলের মন কাড়বে। শহরের ৪২০ মোড় থেকে একবারে কার্নিমোড় পর্যন্ত চন্দননগরের আলোকসজ্জা দিয়ে তারা মুড়ে ফেলবে। সেই আলোকসজ্জাতে পরিবেশ বাঁচানোর বার্তা থাকছে। কৃষকদের দান, শিশুদের সুরক্ষা, করোনার থেকে সুরক্ষা পেতে নানা আলোকসজ্জা থেকে দর্শনার্থীরা অনেক কিছু শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে ও সচতেন হবে। এছাড়াও তাঁরা দক্ষিণ ভারতের কাল্পনিক বড় মন্দির করে জেলাবাসীকে চমক দিতে চলেছে। দুই ক্লাবই জোর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে।
অভিযাত্রী সঙ্ঘের অন্যতম কর্তা সুমিত পাল বলেন, প্রতি বছর আমরা জেলাবাসীকে সেরা পুজো উপহার দেওয়ার চেষ্টা করি। তাই এবার আমরা করোনার থিম নিয়ে পুজো করছি। করোনা পর্বের অনেক কিছু দেখানো হবে। তাতে দেবী দুর্গাকে চিকিৎসক রূপে তুলে ধরা হয়েছে। চিকিৎসা সংক্রান্ত যন্ত্র নিয়ে করোনাকে বধ করছেন মা। আমাদের পুজোর বাজেট এবার ৪ লক্ষ টাকা ছাড়িয়ে যাবে। আলোকসজ্জা হবে। মানুষ মণ্ডপে প্রবেশ করলে আগের লকডাউনের স্মৃতি মনে হবে। অভিযাত্রী সঙ্ঘের শিল্পী বীরেন্দ্রনাথ দাস বলেন, এর আগে এরকম থিম খুব কম হয়েছে মালদহে জেলায়। করোনার বিষয়ের উপর বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। আশা করব, দর্শনার্থীদের ভালো লাগবে।
সর্বজয়ী ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ জয়ব্রত সাহা বলেন, আমাদের পুজো এবার ৪৫তম বর্ষে পড়ছে। পুজোর কয়েক দিন নানা অনুষ্ঠান থাকছে। আমাদের পুজো ইংলিশবাজার শহরের স্টেশন রোডের মূল কেন্দ্রে বলে আলোকসজ্জাতে জোর দিয়েছি। চন্দননগরের আলোকসজ্জা থাকছে। তাতে সমাজের প্রতি অনেক ভালো বার্তা তুলে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। দক্ষিণ ভারতের কাল্পনিক মন্দিরের আদলে প্যান্ডেল হচ্ছে। আমাদের এখানে প্ৰচুর দর্শনার্থী আসে। এবার কোনও কিছুর খামতি রাখা হবে না।