বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যার বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
শিলিগুড়িতে রাজনৈতিক দলগুলির পাশাপাশি বিধানসভা ভোট নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করেছে পুলিস ও প্রশাসন। ইতিমধ্যে তারা কয়েক দফা বৈঠক করেছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশমতো অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণের ব্যাপারে বৈঠকগুলিতে আলোচনা হয়েছে। পুলিস ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈঠকগুলির সিদ্ধান্ত অনুসারেই স্পর্শকাতর এলাকার মানচিত্র তৈরি করা হচ্ছে। এ জন্য রাজনৈতিক, সাম্প্রদায়িক ও জাতিগত হিংসার ঘটনা, অপরাধের পরিসংখ্যান, দুষ্কৃতীদের আনাগোনা, বিগত নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের হার, ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা, বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা প্রভৃতি সহ ১২ ধরনের তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। পুলিসের এক অফিসার বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্ণায়ক সূচী অনুসারে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে এই ম্যাপিং করা হচ্ছে। কয়েকদিন আগে এই কাজ শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ১৪০টি এলাকাকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলি শিলিগুড়ি, ভক্তিনগর, এনজেপি, প্রধাননগর ও মাটিগাড়া এই পাঁচটি থানার অধীনে। বিভিন্ন দিক থেকে এলাকাগুলি উত্তেজনাপ্রবণ। সংশ্লিষ্ট তালিকায় আরও কিছু এলাকা অন্তর্ভুক্ত হবে। শীঘ্রই এই তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। শুধু তাই নয়, স্পর্শকাতর বা অরক্ষিত এলাকাগুলিকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলার পরিকল্পনা নিয়েছে পুলিস। তারা এ জন্য আরও সিসিক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা নিয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি সিসিক্যামেরার সংখ্যা যাচাই করতে শহরে সমীক্ষা চালানো হয়। তাতে উঠে আসা তথ্য অনুসারে শহরের বিভিন্ন এলাকায় সরকারিভাবে বসানো ক্যামেরার সংখ্যা ১১০টি। এরবাইরে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি সংস্থার বসানো ক্যামেরার সংখ্যা প্রায় ৩০০টি। অর্থাৎ শহরে সিসিক্যামেরার সংখ্যা ৪১০টি। ভোটের আগেই তা বাড়িয়ে ৬০০টি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যার অধিকাংশই স্পর্শকাতর এলাকায় বসানো হবে। পুলিস কমিশনার বলেন, ভোটে নজরদারি বাড়াতেই শহরে আরও ২০০টি সিসিক্যামেরা বসানো হবে। এ জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।