বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যার বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
এ ঘটনা আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকের কোহিনুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। গ্রাম পঞ্চায়েতটি বিজেপির দখলে রয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নিয়ম বহির্ভুতভাবে বিভিন্ন কাজের টেন্ডার পাশ করিয়ে নিচ্ছেন, পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা প্রিয় মজুমদার এমনই অভিযোগ তুলেছেন। যদিও কোহিনুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নীলম মণ্ডল বলেন, টেন্ডার নিয়ে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। নিয়ম মেনেই ওপেন টেন্ডার করা হয়েছে। আমিও চাই, এ নিয়ে তদন্ত হোক। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আমি শাস্তি মাথা পেতে নেব।
আলিপুরদুয়ার-২’র বিডিও চিরঞ্জিত সরকার বলেন, অভিযোগপত্রটি আমি এখনও পাইনি। পেলে বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে দেখব। তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার-২ ব্লক সভাপতি পরিতোষ বর্মন বলেন, প্রধানের সই নকল করে কাজকর্ম করা হচ্ছে এমন অভিযোগ ওঠায় বিষয়টি নিয়ে বিডিও’কে পদক্ষেপ করার জন্য আমরা দলগতভাবে অনুরোধ জানাব।
আলিপুরদুয়ার-২’র বাসিন্দা তথা বিজেপির জেলা কমিটির সম্পাদক অর্জুন দেবনাথ বলেন, বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির বোর্ডকে কলঙ্কিত করার জন্য তৃণমূল নেতারা এমন মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন। যদি সত্যি এ ঘটনা ঘটে থাকে তবে প্রকৃত তদন্ত করে প্রধানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি আমাদেরও। কিন্তু অভিযোগ ভুল প্রমাণিত হলে যাঁরা অভিযোগ করছেন তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রিয়বাবু বলেন, গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নিয়ম বহির্ভুতভাবে কাজ করছেন। তিনি বেশকিছু কাজের টেন্ডার ডেকেছেন। কিন্তু টেন্ডারগুলি ডাকার জন্য তিনি কোনও মিটিং করেননি। আমাকে না জানিয়ে বাড়িতে বসে এককভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। সম্প্রতি প্রায় তিনলক্ষ টাকা খরচ করে একটি নদীর বাঁধ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। প্রধান আমাকে জানাননি। আমার থেকে কোনও সই নেওয়া হয়নি। তাই অভিযোগ জানিয়েছি।
প্রসঙ্গত, আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকের ওই কোহিনুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আটটি আসনের মধ্যে তৃণমূল দু’টি, বিজেপি পাঁচটি এবং একটি সিপিএমের দখলে আছে।