বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যার বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
পার্বতী সাহা তাঁর লিখিত অভিযোগে পুলিসকে জানিয়েছেন, আলমপুরে একটি জমি দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের হেফাজতে রয়েছে। সেই জমি গোবিন্দ মণ্ডল সহ অনেকে জোর করে দখল করার চেষ্টা করেন। তাঁদের পরিবারের লোকজন তাতে বাধা দিতে যান। সেসময় তাঁদের বেধড়ক মারধর করা হয়। তখন গোবিন্দ মণ্ডল সহ বেশ কয়েকজন তীর-ধনুক নিয়ে হামলা করেন। তাঁরা বোমাবাজিও করেন।
এবিষয়ে মালদহের অ্যাডিশনাল এসপি (হেডকোয়ার্টার) হোসেন মেহেদী রহমান বলেন, গোবিন্দ মণ্ডল সহ আটজনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।
গাজোল থানার পুলিস কর্তারা বলেন, জমি বিবাদ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি গোবিন্দবাবু বলেন, একেবারে ভিত্তিহীন অভিযোগ। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই অভিযোগ আনা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এটি তৃণমূলের চাল। যে অভিযোগ করেছে আমি তাকে চিনিও না। ঘটনা শুনে আমি স্তম্ভিত হয়ে পড়েছি। আমরা বিষয়টি নিয়ে দলীয়ভাবে আলোচনা করে তারপর যা পদক্ষেপ করার করব।
গাজোলের প্রাক্তন বিধায়ক সুশীল রায় সদ্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তিনি বলেন, জমি বিবাদ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা শুনেছি। তবে এঘটনায় যেই দোষী থাকুন, আইন আইনের পথেই চলবে। এবিষয়ে আমি কিছু বলব না। পুলিস ঘটনা খতিয়ে দেখছে।
এদিকে, তৃণমূলের অঙ্গুলিহেলনেই এই অভিযোগ তোলা হয়েছে বলে বিজেপির দাবিকে নস্যাৎ করে দিয়েছে জোড়াফুলের নেতৃত্ব। জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র শুভময় বসু বলেন, তৃণমূলের ইশারা বা অঙ্গুলিহেলনে অভিযোগ হয়েছে, এটা কোনও কথাই হল না। ওই মহিলার অভিযোগের সত্যতা পুলিস খতিয়ে দেখছে। ওই নেতা যদি দোষী হন তবে অবশ্যই আইনের ধারায় বিচার হবে। যারা ক্ষমতায় আসার কথা বলে, তারাই যদি জমি বিবাদে জড়িয়ে যায়, তাহলে মানুষই এর উত্তর দেবে।