বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যার বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
পুর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের সম্পত্তি কর, পুরসভার একাধিক ভবনের ভাড়া বাবদ কয়েক কোটি টাকা বকেয়া পুরসভার। সেই বকেয়া ভাড়া ও কর আদায় করার জন্য ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দপ্তরে নোটিশ পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে। এদিকে, পুরসভার কর্মীদের বেতন প্রদান সহ পুরসভা পরিচালনার জন্য প্রতি মাসে প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। সেই খরচ মেটাতেই বোর্ডের চেয়ারে বসে হিমসিম খাচ্ছেন নতুন চেয়ারপার্সন।
এবিষয়ে বালুরঘাট পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান হরিপদ সাহা বলেন, পুরসভার আর্থিক সঙ্কট চলছে। অস্থায়ী কর্মী ও ডে লেবার হিসেবে কয়েকজন কর্মী রয়েছেন আমাদের। তাঁদের বেতন সহ পুরসভা পরিচালনার জন্য মাসে প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়। সেই বিপুল পরিমাণ খরচ মেটাতে আমাদের সমস্যা হচ্ছে। আগেও আমরা পুরমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। এদিন আমরা কলকাতায় গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি ভোটের আগে ফান্ডে কিছু টাকা দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
বর্তমানে বালুরঘাট পুরসভায় প্রায় ৮০০জন অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন সাফাইকর্মী ও অন্যান্য কর্মীকে দিনচুক্তি হিসেবে টাকা দেওয়া হয়। এই কর্মীদের বেতন ও অন্যান্য খরচ পুরসভার ফান্ড থেকেই মেটাতে হয়। বিরোধীদের অভিযোগ, বামেদের আমলে পুরসভার এধরনের কর্মীদের সংখ্যা ছিল প্রায় ৫০০ জন। তৃণমূলের আমলে অস্থায়ী কর্মীদের সংখ্যা প্রায় দেড়গুণ বেড়ে গিয়েছে। এই বিপুল সংখ্যক কর্মীর বেতন মেটাতেও অনেক টাকা লাগছে। অপ্রয়োজনীয় নিয়োগ করে এখন বেকায়দায় পড়েছে পুরসভা, অভিযোগ বিরোধীদের। আরএসপি’র প্রাক্তন কাউন্সিলার প্রলয় ঘোষ বলেন, গত বোর্ড পুরসভাতে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করে ফেলেছে। যার ফলে এখন আয়ের থেকে ব্যয় বেশি হচ্ছে। তারই প্রভাব পড়ছে। এর জেরে শহরের উন্নয়ন থমকে রয়েছে। বিজেপির টাউন মণ্ডল সভাপতি সুমন বর্মন বলেন, অনাথ বালুরঘাট পুরসভায় অর্থ থাকবে কিভাবে? তৃণমূলের বোর্ড থাকাকালীন যা ছিল, সব ওরা খেয়ে ফেলেছে। এছাড়াও নিয়ম বহির্ভূত ভাবে নিয়োগ করেছে। এখন আর খরচ চালাতে পারছে না। অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান রাজেন শীল বলেন, কর্মীর প্রয়োজন ছিল, তাই নিয়োগ করেছি। আমাদের বোর্ড থাকাকালীন কোনও সমস্যা হয়নি। এখন পুরসভা চালাতে আর্থিক সমস্যা হচ্ছে কেন? আমরা কোনও সরকারি ফান্ড ছাড়াই নিজেদের ফান্ড থেকেই কর্মীদের বেতন দিয়েছি। প্রসঙ্গত, বালুরঘাট পুরসভা ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে প্রশাসনিক বোর্ডের হাতে চলে যায়। সেই সময় মহকুমাশাসক এবং তৃণমূল নেত্রী অর্পিতা ঘোষ এবং শঙ্কর চক্রবর্তী বোর্ডের সদস্য ছিলেন। এরপরে গত ডিসেম্বর মাসের শেষে হরিপদ সাহা সহ ১১ জনকে নিয়ে বোর্ড তৈরি করে তাঁদের হাতে দায়িত্ব দেওয়া হয়।