বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যার বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক(মাধ্যমিক) নারায়ণচন্দ্র পাল বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই দীর্ঘদিন পর এদিন আংশিক স্কুল খুলেছে। আমি নিজে তার আগে একাধিক স্কুল পরিদর্শন করেছি। ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তবে খাদিমপুর স্কুলে ছাত্ররা এমন ঘটনা করেছে যে ভাবতে পারছি না। স্কুল কর্তৃপক্ষকে বিষয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। পাশাপাশি যারা এমন কাজ করেছে, সেই ছাত্রদের অভিভাবকদের ডেকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।
খাদিমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মধুসূদন ভট্টাচার্য বলেন, হয়ত সেই সময়ে ক্লাস চলছিল না। শ্রেণীকক্ষ ফাঁকা থাকার সুযোগ নিয়ে হয়তো তারা এমনটা করেছে। দীর্ঘদিন পর স্কুল খুলেছে। তাই আবেগের বশে কয়েকজন পড়ুয়া এমন কাজ করে ফেলেছে। অভিযুক্ত ছাত্রদের অভিভাবকদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। ছাত্ররা আমাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে। এমন কাজ আগামীতে যাতে আর না হয়, সেদিকে আমরা নজর দেব।
জানা গিয়েছে, এদিন বেলা ১২টা নাগাদ ওই স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণীর এক ছাত্র তার নিজের ফেসবুক পেজ থেকে একটি লাইভ করে। সেই লাইভে ক্লাস রুমে হাতে গোনা ১০-১২ জন ছাত্রকে দেখতে পাওয়া গিয়েছে। প্রত্যেকে আলাদা আলাদা বেঞ্চে বসে ছিল। তবে অধিকাংশ ছাত্রই মোবাইল গেম খেলতে ব্যস্ত ছিল। এক ছাত্রকে তো সানগ্লাস পরে শিক্ষকের চেয়ারে বসে সেলফি তুলতে দেখা যায়। কেউ অশালীন অঙ্গভঙ্গি করছিল। কেউ মোবাইলের গানের তালে তালে নাচানাচি করতেই ব্যস্ত ছিল। দীর্ঘ পাঁচ মিনিটের এই লাইভ ভিডিও ভাইরাল হতেই নানা মহল থেকে প্রতিক্রিয়ার ঝড় উঠেছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি খবর পৌঁছে যায় খোদ জেলার শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকদের কাছেও। সেই লাইভ ভিডিও নজরে আসতেই ছাত্রদের ডেকে তড়িঘড়ি সেটি ডিলিট করতে নির্দেশ দেওয়া হয় শিক্ষকদের তরফে। এব্যাপারে বালুরঘাটের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ কৌশিক বিশ্বাস বলেন, এমন ঘটনা যে স্কুলেই ঘটে থাকুক, তা কখনই কাম্য নয়।