বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যার বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
যদিও বামেরা তাদের ডাকা এদিনের বন্ধ শিলিগুড়িতে সফল বলে দাবি করেছে। এদিন সকাল থেকেই এনবিএসটিসির পাশাপাশি বেসরকারি পরিবহণ ব্যবস্থা অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক ছিল। করোনা সংক্রমণের ধাক্কা সামলে এদিন থেকেই রাজ্যে স্কুল খুলেছে। সেখানেও বন্ধের প্রভাব দেখা যায়নি। সরকারি, বেসরাকারি অফিসে স্বাভাবিক কাজকর্ম হয়েছে। চা বাগানেও কাজ অন্যান্য দিনের মতো হয়।
রাজ্যের ছ’টি পুরসভার মধ্যে একমাত্র শিলিগুড়ি পুরসভা বামেদের দখলে ছিল। গতবছর এই পুরসভার মেয়াদ শেষের পর প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয় প্রাক্তন মেয়র শিলিগুড়ির বাম বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্যকে। শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদও বামেদের দখলে ছিল। মহকুমার বাকি দু’টি বিধানসভা কেন্দ্র মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি ও ফাঁসিদেওয়া কংগ্রেসের দখলে রয়েছে। কোথাও তৃণমূল ক্ষমতায় নেই। কিন্তু কংগ্রেসের সমর্থনে বামেদের ডাকা ধর্মঘটে সেই শিলিগুড়ি পুরসভায় স্বাভাবিক কাজকর্ম হয়েছে। কর্মীদের উপস্থিতিও ছিল স্বাভাবিক। মহকুমা পরিষদ সহ অন্যান্য সরকারি অফিসেও স্বাভাবিক কাজকর্ম হয়েছে।
শিলিগুড়ি গার্লস হাইস্কুলে বন্ধ সমর্থনকারীরা এলে স্কুলের কয়েকজন শিক্ষিকার একপ্রকার তাড়া খেয়ে তাঁরা পালিয়ে যান। অতীতে দেখা গিয়েছে, ধর্মঘট ডাকলেই বেসরকারি পরিবহণ ব্যবস্থা স্তব্ধ হয়ে যেত। কিন্তু এদিন উল্লেখযোগ্যভাবে নজরে এসেছে সকাল থেকে দূরপাল্লা সহ শিলিগুড়ি লোকাল রুটের বেসরকারি বাস চলেছে, সিটিঅটো চলে। আর এই জায়গা থেকেই রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে লালদুর্গ হিসেবে পরিচিত শিলিগুড়িতে কি সিপিএম তথা বামেরা শক্তি হারাচ্ছে? ভোটের মুখে এই প্রশ্ন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের (সমতল) সভাপতি রঞ্জন সরকার দাবি করেন, ভোটের রাজনীতি করতে বামেদের কর্মনাশা বন্ধে শিলিগুড়িতে মানুষ সাড়া দেয়নি। ওদের ডাকা ধর্মঘট সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেকোনও বন্ধের বিরুদ্ধে। তিনি মানুষের মধ্যেও কর্মনাশা বন্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মানসিকতা গড়ে তুলতে সফল হয়েছেন। এদিকে লালদুর্গেও বামেদের বন্ধ প্রত্যাশিত সাড়া না মেলায় সিপিএমের অন্দরেও আলোচনা শুরু হয়েছে। যদিও সিপিএমের জেলা সম্পাদক ও দার্জিলিং জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক জীবেশ সরকার বলেন, এদিন বন্ধ সর্বাত্মক হয়েছে।
বন্ধে দোকানপাট, হাটবাজার খোলা ছিল কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারেও। সকালে কোচবিহার শহরের কেশব মোড়ে সিপিএম কর্মীরা টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধের চেষ্টা করেন। যদিও পুলিস পৌঁছে বন্ধ সমর্থনকারীদের হটিয়ে দেয়। আলিপুরদুয়ার ডিপো থেকে চলাচলকারী এনবিএসটিসি বাসের চালকরা মাথায় হেলমেট পরে নেন। জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের মূল গেট বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখান বাম ছাত্র-যুবরা। একসময় আইনজীবীদের সঙ্গে বন্ধকারীদের বচসা বাঁধে। যদিও পরে পুলিসের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।