বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যার বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
মালদহের ফুল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, গত কয়েকবছর ধরে ভ্যালেন্টাইনস ডে উদ্যাপনের ঘটা ও আগ্রহ বেড়েছে। বিশেষ করে অল্পবয়সীরাই ওই বিশেষ দিনটি উপলক্ষে গোলাপ ফুল আদানপ্রদানে বেশি আগ্রহী। তাই প্রতি বছরই ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ নাগাদ গোলাপ ফুলের চাহিদা বেড়ে যায়। সেইসঙ্গে এবার আবার ১৪ ফেব্রুয়ারির লাগোয়াই সরস্বতী পুজো। যে কোনও পুজোর সময়েই বাজারে ফুলের চাহিদা বাড়ে। সরস্বতী পুজোর সময়ে গাঁদা ও পলাশের দাম চড়চড় করে বেড়ে যায়। এই সময়টায় ফুল ব্যবসায়ীরা দোকানে বেশি করে ফুলও মজুদ করেন ভালো ব্যবসার আশায়।
মিনি গোলাপ বা সাধারণ গোলাপ ফুলের দাম বছরের অন্যান্য সময় থাকে ১০ টাকা। কিন্তু ১৪ ফেব্রুয়ারির আগে আগে তার দাম বেড়ে হয়ে যায় ১৫ টাকা। এদিকে, পুজোর জন্য গাঁদা ফুলের ছোট চেনের দাম ১৫ টাকা। পলাশ ফুলের নির্দিষ্ট দাম বলতে পারলেন না ব্যবসায়ীরা। তাঁরা জানালেন, পুজোর আগে চাহিদা ও যোগানের উপর নির্ভর করে পলাশের দাম ওঠানামা করে। পুজোর দিন একেক পিস পলাশ ফুলের দাম ১৫ থেকে ২০ টাকার মধ্যে থাকে। তবে বাকিদের দাম যতই বাড়ুক, ডাচ গোলাপ কিন্তু সেই দামের প্রতিযোগিতায় বাকিদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে। আকারে বড় এই গোলাপের দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকা প্রতি পিস। পকেটে রেস্ত না থাকলে এই গোলাপের দিকে সহজে হাত বাড়ান না যুবক-যুবতীরা।
ইংলিশবাজার শহরের ফুল বিক্রেতা সোনু ঋষি বলেন, এই ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে প্রায় ১৫০০ মিনি গোলাপ এবং ৩০০ থেকে ৪০০ পিস ডাচ গোলাপ প্রতিবছরই বিক্রি হয়। সেই হিসেবেই দোকানে ফুল নিয়ে আসি। এই ফুলগুলি বাইরে থেকে মালদহে আসে। এমনিতে ফুলের চাহিদা বারোমাসই রয়েছে। তবে এই সময় তা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায়। এবছরও ভালো বিক্রির আশা করছি। রথবাড়ি বাজারের ফুল বিক্রেতা হরেকৃষ্ণ সাহা বলেন, সরস্বতী পুজোর এক-দু’দিন আগে থেকে পলাশ ফুল বিক্রি শুরু হয়। তবে গাঁদা ফুল কমবেশি সারাবছরই বিক্রি হয়ে থাকে। সাধারণত রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ, ফরাক্কা, মেদিনীপুর, নদীয়া ও মালদহের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে গাঁদা ফুল ও পলাশ ফুল আসে ইংলিশবাজারে। এই বিষয়ে শহরেরই বাসিন্দা এক যুগল জানাল, ভ্যালেন্টাইনস ডেতে মনের মানুষকে গোলাপ দিয়ে শুভেচ্ছা জানাই। ওই দিনে দামের তোয়াক্কা করলে চলে না।
পুরাতন মালদহের নজরপুর এলাকার পুজো উদ্যোক্তা কমিটির সদস্য শ্যাম দত্ত বলেন, মণ্ডপ সাজানো থেকে শুরু করে অঞ্জলি, সবেতেই ফুল লাগে। আগে থেকে অর্ডার দিয়ে রাখি। এই সমসয় দাম বেড়ে যায়। আগে অর্ডার না দিলে বেশি টাকা দিলেও ফুল পাই না।