উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। কর্মরতদের ... বিশদ
শতাব্দী প্রাচীন এই পুজোকে ঘিরে স্থানীয়দের মধ্যে প্রচুর উৎসাহ ও উদ্দীপনা আছে। নিয়ম নিষ্ঠা ও ভক্তিভরে এখানে দেবীর পুজো করা হয়। সেইসঙ্গে বসে মেলা। তবে করোনার জেরে উদ্যোক্তারা এবছর মেলা বন্ধ রেখেছেন। সরকারি নিয়ম অনুসারে সমস্ত স্বাস্থ্য বিধি মেনেই পুজোর আয়োজন করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
আজ থেকে ঠিক কত বছর আগে এই পুজো শুরু হয়েছে, সেব্যাপারে কোনও সঠিক তথ্য দিতে পারেননি এলাকার প্রবীণ বাসিন্দারাও। ওই পুজো কমিটির উপদেষ্টা সদস্য বীরেন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, আমার বাবা-ঠাকুরদাও এই পুজা দেখেছে। তবে কত সাল থেকে এই পুজো শুরু হয়েছিল, তা বলতে পারছি না। বয়স্কদের কাছে শুনেছি যে সোনামতি নাকি দেবী দুর্গারই আরও এক নাম। আর এক কুম্ভকার বা কুমোর পরিবার এই পুজো শুরু হওয়ার কাহিনীর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বলে তা থেকে দেবীর নাম সোনামতি কুম্ভরানি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, করোনার জেরে এবার মেলা হচ্ছে না। যেসব দর্শনার্থী আসবেন, তাঁদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। আমাদের এখানে স্যনিটাইজারের ব্যবস্থাও থাকবে। সিঙ্গারদহ সহ মাগনাভিটা, মাটিয়ানি, মণিপাড়া, তেলেঙ্গাডাঙি, চুনারি সহ আশেপাশের অনেক এলাকা থেকেই প্রতিবছর দর্শনার্থীরা আসেন পুজো দেখতে। সেই সঙ্গে জেলার দূরদূরান্ত থেকেও অনেকেই আসে। আসেন প্রতিবেশী বিহার থেকেও। বিশেষ করে রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষ এখানে বেশি আসেন। দেবীর উদ্দেশ্যে পাঁঠা ও পায়রা বলি দেওয়ার নিয়ম আছে। নিয়ম নিষ্ঠা সহকারে পুজো ও বলি হয়। মানুষের অগাধ শ্রদ্ধা ও ভক্তি জড়িয়ে আছে এই পুজোর সঙ্গে।
কীভাবে শুরু হয়েছিল এই পুজো? কথিত আছে, বহু বছর আগে দশমীর পুজো দিতে যাওয়ার জন্য সাজগোজ করে তৈরি হচ্ছিলেন কুমোর পরিবারের এক বধূ। অনেক সময় নিয়ে সাজগোজ করছিলেন তিনি। এদিকে পুজোর স্থলে যেতে দেরি হয়ে যাচ্ছে। তাই বারবার সেই বধূকে তাগাদা দিচ্ছেলেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তখন তাঁর শ্বশুর কটাক্ষ করে বলেছিলেন, বউ একেবারে যেন দেবী দুর্গার মতো করে সাজছে।
এদিকে শ্বশুরের কটাক্ষের পরেও বধূর সাজগোজ শেষ হয়নি। রেগেমেগে ঘরে ঢুকে শ্বশুর দেখেন, ঘরের মধ্যে মা দুর্গাই রয়েছেন। সেই থেকেই এই পুজোর শুরু। সাধারণত দশমীর পরে যে মঙ্গলবার আসে, সেদিন এই পুজো হয়। তবে এবছর দশমীর একেবারে পরের দিনই ছিল মঙ্গলবার। তাই সেদিন পুজোর আয়োজন না করে এক সপ্তাহ পরে, তার পরের মঙ্গলবার পুজোর আয়োজন করা হচ্ছে।